গুটি গুটি পায়ে ৫০ এ পা কিশামত দশগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
আজ থেকে ঠিক ৫০ বছর পূর্বে গুটি গুটি পায়ে যাত্রা শুরু করেছিল দিনহাটা ২ নং ব্লকের দক্ষিণ কিশামত দশগ্রাম নিউ প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চাশবর্ষ পূর্তি অর্থাৎ সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রধান শ্রীমতী রিংকি রায় বর্মন, উপপ্রধান দিলীপ চন্দ্র দাস, পঞ্চায়েত শুধাংশু শেখর রায় এবং মঞ্জু মোহন ভাদুড়ী যিনি বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সদস্যও ছিলেন। বিদ্যালয়ের অবসপ্রাপ্ত প্রাক্তন শিক্ষক মন্ডলীদের মধ্যে কাশিকান্ত বর্মন, নগেন বর্মন ও প্রফুল্ল রায় মহাশয় সহ পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়ের অন্যান্য বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় পঞ্চায়েত শুধাংশু শেখর রায় ।
সকাল ১১.৩০ মিনিটে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপর একে একে অতিথি বৃন্দের স্বাগত ভাষণ সহ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈকত সরকার তার ক্ষুদ্র আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন সকলের সামনে। এরপর বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ছাত্রছাত্রীরা তাদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা সকলের সামনে তুলে ধরে নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশনের মাধ্যমে। প্রাক্তন ছাত্ররা মিলে একটি কৌতুকপূর্ণ নাটকের উপস্থাপনাও করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিদের হতে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ স্মারক তুলে দেওয়া হয় এবং অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগী - প্রতিযোগিনীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
১৯৭৩ সালে পথ চলা শুরু করার পর মাঝের এই সময়ে অনেক শিক্ষকমন্ডলী, ছাত্রছাত্রী এসেছে আবার প্রাক্তনের দলে নাম লিখিয়েছে। দীর্ঘ এই পঞ্চাশ বছরে বিদ্যালয়ের অনেক ভোল বদল হয়ে আজ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের হাতে যেমন ফুলের বাগান, সবজি বাগান তৈরি করছে ঠিক সেভাবেই সুন্দরভাবে পরিচর্যাও করে চলেছে। এছাড়াও তারা নিজের হাতে মাশরুম চাষ করেছে, গোবর দিয়ে পরিবেশ বান্ধব ফুলের টব তৈরি - সমস্ত কিছুতে পারদর্শী হয়ে উঠেছে। যার সব কিছুর পেছনে রয়েছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈকত সরকারের অবদান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊