বন্ধ হোটেলে ভুয়া অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানা ! গ্রেপ্তার ৭
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের কুলটি থানার পুলিশ, জামতাড়ার মিহিজাম পুলিশের সহযোগিতায় মেহিজামের রূপনারায়ণপুর মেহিজাম যাবার প্রধান রোডে একটি বন্ধ হোটেলে অভিযান চালায়। যেখানে সন্ধান পাওয়া যায় ভুয়া অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানার।
বুধবার জামতাড়া পুলিশ সুপার অনিমেশ নাইথানি মিহিজাম থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান যে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি পুলিশের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে যে মিহিজাম থানার অন্তর্গত আমোই রেলওয়ে আন্ডার পাসের কাছে নকল লটারি ছাপানো এবং বিক্রি করা হচ্ছে। যেখান থেকে টিকিট বিক্রেতারা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছিল।
এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিঞ্জ ও থানার ইনচার্জ ভাস্কর ঝা-এর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালানো হয়। সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নকল লটারির টিকিট সহ নকল লটারি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি,আটটি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, পাঁচটি স্ট্যাপলার,বিভিন্ন সাইজের তেরশত লটারির বান্ডিল,প্রিন্ট করা লটারির টিকিট সাতটি ব্যাগ,একটি ভারী কাগজের কাটিং মেশিন পাওয়া যায়।
তাছাড়া তিনটি ব্যবহৃত কার্তুজ,পাঁচটি বাইক ও দুটি প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযানে ওই বন্ধ আমান হোটেল থেকে মোট সাতজনকে আটক করা হয়। যেখানে জামতাড়া নারায়ণপুর ভ্যালি সিমলার কুণাল মণ্ডল (২১) বিশাল মণ্ডল,(২২) গোবিন্দপুর বেলাতন্ডের ২১ বছরের শিবু গোপ, হেমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অন্নত মল্লিক, আস্তিক অধিকারীকে আটক করেছে । তবে এই হোটেলের মালিক চন্দন ঠাকুরকেও খুঁজছে পুলিশ।
এই বিষয়ে, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং 74/23, 4 লটারি আইন 1998 এবং 7 (3) লটারি নিয়ন্ত্রণ আইন 1998 এর অধীনে সাতজন এর নামে এবং অন্যান্য অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে৷
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊