গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ইস্যুতে তৃণমূলকে খোঁচা, দুর্নিতি ১০০ কোটিরও বেশি হয়েছে, একাধিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি সুকান্ত মজুমদার
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
বুধবার সকালে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল পড়ুয়াদের টাকায় মামলা লড়ছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে মামলা লড়াই সেটা কিভাবে হবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় ঠিক করবে। পড়ুয়ারা যখন টাকা দেয় সেই টাকায় উপাচার্য বা রেজিস্টার মামলা লড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মামলা লড়ছেন সেটি কি তার পৈতৃক টাকা নাকি জনগণের টাকায় লড়ছেন এতে বিতর্কের কি আছে বুঝতে পারছিনা।
রাজ্যের মানুষের টাকায় রাজ্য সরকারের মামলা লরা যদি ঠিক নয় তাহলে এক্ষেত্রে কেন ঠিক হবে? এই প্রসঙ্গে বলেন, জনগণের টাকায় রাজ্য সরকার মামলা লড়বে এটাই স্বাভাবিক, সব বিষয়ে কেন মামলা করবেন বিরোধীদলকে সভা করতে দেবো না তার জন্য কেন মামলা হবে যদি মামলা হয় তাহলে রাজের স্বার্থের জন্য মামলা হোক। তৃণমূলের স্বার্থের জন্য মামলা তো জনগণের টাকা করা উচিত নয়। রাজ্যপাল নিজের কোন পদ বাড়ানোর জন্য বা মাইনে বাড়ানোর জন্য লড়ছেনা বা অন্য কাউকে আটকোনো করার জন্য লড়ছে না রাজ্যপাল লড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উপাচার্য নিয়োগ করবে।
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূল ভেতরের অবস্থা ভালো না ইন্টারনাল স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ এ লড়াই ভাগ বাটোয়ারা লড়াই। লড়াই খুব সহজে থামবে না খুনাখুনি পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছাবে অনেক জায়গায় পৌঁছছে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই থাকবে না অপেক্ষা করুন কয়েক বছর তৃণমূল কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না।
২০ তারিখ মোদী মমতা সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়েছেন। যে কোন মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে চাইলেই প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন। এটা প্রটোকল। পশ্চিমবঙ্গে এটা মানা হয় না। সংবিধানকে কে কিভাবে মানবে সেটা তার ব্যাপার।
শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকে নিয়ে সৌগত রায় মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী কেন মানবেন কার্তিক ব্যানার্জি তো স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্যানার্জি পরিবারে কেউ আছে কিনা দেখুন সেই সময় তারা স্বাধীনতা সংগ্রামী হবে। আমার পরিবার আপনার পরিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী এরা কিছু করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পরিবার মিলে বাংলাকে স্বাধীন করে দিয়েছিল।
রাজ্যের রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করবো তার এক ভাইপোর পাহাড়ে বিয়ে হওয়াতে তিনি সেখানে গেলেন রাস্তাঘাট ঠিক হলো। আমি চাইবো মুখ্যমন্ত্রী এরকম আরো অনেক ভাইপো থাকুক তারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিয়ে করুক তাহলে রাস্তাগুলো ঠিক হয়ে যাবে। আরো কিছু ভাইপো বানান তাহলে ভালো হবে।
রেশন দুর্নীতি মামলা ইডির চার্জশিট প্রসঙ্গে বলেন, ইডির চার্জশিটে ১০০ কোটির দুর্নীতির যে কথা বলা হয়েছে আমার মনে হয় তার থেকে অনেক বেশি। তদন্তের গতি প্রকৃতি আগামী দিনে প্রমাণ করবে এই দুর্নীতি হাজার কোটির কমে হবে না। বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে এবং সব চোরদের জেলে যাওয়া উচিত। যাদের আমার চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি সে বাকিবুর রহমান হোক বা বালু মল্লিক হোন না কেন এরা শুধু ছোটখাটো লোক এদের উপরে আরো মাথা আছে। বালু মল্লিকের এত সাহস নেই যে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়ে এত বড় ঘোটালা করে ফেলবেন চুরি করে ফেলবেন।
কলকাতা পুরসভায় মাইনে না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, কলকাতা পৌরসভার বেতন দিতেও যদি কেন্দ্র সরকারের টাকার প্রয়োজন হয় তাহলে সেই রাজ্য সরকারকে স্টেপ ডাউন করা উচিত। একটা কর্পোরেশনের এবং সেটা রাজধানীর কর্পোরেশন তার যদি মাইনে না দিতে পারেন এরকম অপদার্থ সরকার থাকার থেকে না থাকা ভালো।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊