কোচবিহার পৌরসভার পৌর দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক নির্দল কাউন্সিলর
তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কোচবিহার পৌরসভার পৌর বোর্ডের একাধিক দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কোচবিহার পৌরসভার পৌরপরে দুই নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর উজ্জ্বল তর। শুধু তাই নয় তার প্রকাশ্য অভিযোগ তার মা অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বল নিয়ে যিনি দু'নম্বর ওয়ার্ড থেকে পৌর নির্বাচনে পরাজয় মুখ দেখেছিলেন তার মদতেই একাধিক দুর্নীতি হয়েছে কোচবিহার পৌরসভায়। এবং বর্তমানে তিনি এই সমস্ত দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে কোচবিহার পৌরসভার পৌর কর্মীদের একাংশ বলে অভিযোগ তার।
বলাবাহুল্য, প্রায় সাত দিন আগে কাউন্সিলর উজ্জ্বল তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল 1 পৌরকর্মীকে হেনস্থা করার। তাই নিয়ে দফায় দফায় কোচবিহার পৌরসভায় আন্দোলন করেছেন পৌর কর্মীরা। অভিযোগ ছিল সেই পৌর কর্মীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন কাউন্সিলার। কিন্তু এই মর্মে কোন মেডিকেল সার্টিফিকেট বা পুলিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অথচ দফায় দফায় উজ্জ্বল বাবুর বহিষ্কার নিয়ে সরব হয়েছেন এই পৌর কর্মীদের একাংশ। মূলত তিনি নির্দল কাউন্সিলর এবং বিগত দিনে তৃণমূলের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে তাকে সোচ্চার হতে দেখা গেছে বলে পৌর কর্মীদেরকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধে, এমনটাই অভিযোগ উজ্জ্বল বাবুর। যদিও বা এই পুরো ঘটনায় কোনো রকম কোনো মন্তব্য করেননি কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এমন কি এখনো পর্যন্ত কাউন্সিলার উজ্জ্বল তরের সাথেও তিনি কোন কথা বলেননি বলে পৌরসভা সূত্রই জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, বর্তমান কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক নিজেও একজন পৌর কাউন্সিলর। তিনিও এই বিষয়ে কোনো রকম কোনো আলোচনা উজ্জ্বল বাবুর সাথে করেননি বলে জানাগেছে।
এদিন উজ্জ্বল বাবু প্রকাশ্যে অভিযোগ করে বলেন, এক সময় পৌরসভায় জেসিবির ভাড়া ছিল প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কাছাকাছি, তার আন্দোলনের ফলে সেই ভাড়া এসে দাঁড়িয়েছে ৬০০০০ টাকায়। এমনকি জমাদার, সাফাইকর্মী, ওয়ার্ডের কেয়ারটেকার তারা যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং বর্তমানে তারা যেভাবে সম্পত্তি তৈরি করে নিয়েছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। কোচবিহার পৌরসভার টাকা, সাধারণ পৌর বাসিন্দাদের কলের টাকা নয় ছয় করে তাদের এই সম্পত্তি বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, আমি যতই খারাপ হই না কেন মানুষের স্বার্থে মানুষের জন্য আমি লড়াই করেই যাব। আমি একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত কাউন্সিলার, সুতরাং কেউ পৌর বোর্ড থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে পারবে না। যারা এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন তারা সবার আগে আইনটা জেনে আসুন।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, কোচবিহার পৌরসভার লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে তার মায়ের আমলে। ওয়ার্ডের বেশ কিছু জমাদার ঠিকাদার কোটিপতি হয়ে গেছে, আজ এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য তার মা মিনা তরের অঙ্গুলী হেলোনেই এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যদি তিনি কোন অপরাধ করে থাকেন তাহলে তার জন্য আইন ব্যবস্থা নেবে, তিনি সম্পূর্ণ আইনকে সহযোগিতা করবেন। একই সাথে পৌরসভার দুর্নীতিগ্রস্থ সমস্ত পৌরকর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করেছেন তিনি, সঙ্গে তার নিজের মায়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত দাবি করেছেন এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন উজ্জ্বল তর।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊