উত্তরবঙ্গের রেলযাত্রীদের জন্য খুশীর খবর, কিন্তু ব্রাত্য থেকে গেলো কোচবিহার !

uttarbanga express



  • একাধিক স্টেশনে বিভিন্ন এক্সপ্রেস ট্রেনের নয়া স্টপেজ
সম্রাট দাস, সংবাদ একলব্য:

দীপাবলীর আগে উত্তরবঙ্গের রেলযাত্রীদের জন্য এলো খুশির খবর। এবার উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশন পেতে চলেছে একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ। আজ এক বিবৃতিতে N.F.Railway জানিয়েছে পরীক্ষামূলক ভাবে আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই নয়া স্টপেজ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা ২০২৩ এর এপ্রিল থেকে চালুছিলো। তবে দীর্ঘদিন থেকে দাবী করবার পরেও ব্রাত্য থেকে গেলো রাজ শহর তথা হেরিটেজ শহর কোচবিহার।

মোট ৭ টি এক্সপ্রেস ট্রেনের এই নয়া স্টপেজ ঘোষণা করেছে রেল মন্ত্রক। বেলাকোবা, ধুপগুড়ি, হরিশচন্দ্রপুর, একলাখি এবং সামসি স্টেশন পাচ্ছে এই সুবিধা ।

তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কুলিক এক্সপ্রেস, পুরি কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস, হাটে বাজারে এক্সপ্রেস, হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস, এবং উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস -এই সাতটি এক্সপ্রেস ট্রেন এবার নয়া স্টেশনে থামতে চলেছে।

ঘোষণা অনুসারে তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেস থামতে চলেছে বেলাকোবায়, সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধুপগুড়িতে, কুলিক এক্সপ্রেস হরিশচন্দ্রপুরে, পুরি কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস হরিশচন্দ্রপুরে, হাটে বাজারে এক্সপ্রেস থামবে একলাখিতে, হাওড়া-বালুরঘাট এক্সপ্রেস থামবে একলাখিতে, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস থামবে সামসিতে।

এই ঘোষণার পর কোচবিহার-দিনহাটা রেলযাত্রী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রাজা ঘোষ জানিয়েছেন 'রেলমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই, তবে রাজ শহর কোচবিহারে উত্তরবঙ্গের স্টপেজ যেমন জরুরী ছিলো তেমনি দেওয়ানহাট স্টেশনেও স্টপেজ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিলো এলাকার আর্থিক উন্নতির ক্ষেত্রে। কেন এইভাবে কোচবিহার জেলাকে উপেক্ষা করা হলো বুঝতে পারছি না। এই দুই স্টেশনে স্টপেজের দাবী দীর্ঘদিন থেকে আমরা করে আসছি।"

দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক জয়গোপাল ভৌমিক জানিয়েছেন- 'কলেজ হল্ট স্টেশন তৈরি হয়েছে ছাত্র স্বার্থে। ১৯৫৮ সালে প্রথম কলেজ হল্ট স্থাপন হয়, পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এটি তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০১০ সালে পুনরায় নতুনরূপে কলেজ হল্ট চালু হয়। অথচ যে ছাত্র স্বার্থে এই কলেজ হল্ট তৈরি হয়েছিলো তা বর্তমানে সম্পুর্ন রূপে পরিত্যক্ত। বামনহাট থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যে প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি চালু ছিলো যা ফালাকাটা ধুপগুড়ি হয়ে যেতো, সেই ট্রেনটি পূর্বের সময় অনুসারেই আবার চালু করবার দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে ইন্টারসিটি হিসাবে যে ট্রেনটি চালু আছে তা কলেজ হল্টে যেনো স্টপেজ দেয় তার দাবীও রাখছি।"