চিরাচরিত প্রদীপের চাহিদা কম, কারুকার্য করা প্রদীপেই ভরসা মৃৎশিল্পীদের

Lamp


জয়নগর :

চিরাচরিত প্রদীপের চাহিদা কম থাকায় মৃৎ শিল্পীরা এর ডিজাইন প্রদীপের উপরেই বেশি ভরসা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। এরপর আলোর উৎসব দীপাবলি বা কালীপুজোতে মাতবে গোটা দেশ । আর দীপাবলি মানেই গৃহস্থ বাড়িতে আলো জ্বালানোর জন্য ব্যবহার হয় মাটির প্রদীপ আবার অনেকেই গৃহসজ্জার ব্যবহার করে টেরাকোটার আদলে গড়া মাটির প্রদীপ। আর তাই দীপাবলির আগে বিভিন্ন ডিজাইনের মাটির প্রদীপ তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বকুলতলা থানা এলাকার গৌরহাট কুমোর পাড়ার মৃৎ শিল্পীরা। এখানকার মৃৎশিল্পীরা মূলত টেরাকোটার আদলে নানা ধরনের প্রদীপ তৈরি করে আর তাই দিনরাত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এই মৃৎ শিল্পীরা।



আগের তুলনায় বাজারে অনেকটাই কমেছে চিনা টুনি লাইট দাপট। কয় বছর আগে লাদাখ সীমান্তে চিনা হানায় ভারতীয় সেনা জাওয়ানদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল। এর জেরে চিনা পণ্য বয়কট। আর যার জেরে ভারতের বাজারে অনেকটাই কমেছে চীনা টুনির দাপট।




আর এতদিন দীপাবলীর উৎসবে বাড়ির আলোকসজ্জার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিনা টুনির ব্যবহার দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছিল পাল্লা দিয়েই ততই মাটির প্রতি ব্যবহার কম ছিল চাহিদা কমায় মাটির প্রদীপ তৈরীর পেশায় যুক্ত মৃৎশিল্পীদের কর্মসংস্থানের দারুন প্রভাব পড়েছিল আর চিনা টুনি দাপট কমতেই মুখে হাসি চওড়া হয়েছে মৃৎশিল্পী মহলে।




আর জয়নগর কুমোর পাড়া গ্রামের শিল্পীরা সাবেকি প্রদীপ বানানোর পাশাপাশি এবারেও নিত্যনতুন ডিজাইনের টেরাকোটা আদলের প্রদীপ তৈরি করছেন আর দীপাবলি উৎসবের দিন এগিয়ে আসতে মাটির প্রদীপ করার কাজে ব্যস্ততা বেড়েছে।