সিকিমের মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভাসছে বাংলাও!
মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে সিকিমে ধ্বংসযজ্ঞ। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত নিখোঁজ ২৩ সেনা জওয়ান, চলছে জোর তল্লাশি। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে তিস্তা নদী প্লাবিত হয়েছে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে আকস্মিক মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
মেঘভাঙা বৃষ্টির (CloudBurst) জেরে চুংথাম বাঁধ ভেঙে ভয়াল আকার নিয়েছে তিস্তা। নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস (Flash Floods)। জলস্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট বেড়ে গেছে। স্রোতের টানে ভেসে যেতে দেখা গেছে বাড়ি ঘর-গাছ পালা। পাহাড়ি রাস্তায় ভাসছে গাড়ি। চুংথাম এলাকা কার্যত সিকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বানভাসি লাচেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক সেনাছাউনি।
বাসিন্দাদের উদ্দেশে সতর্কতা জারি করেছে সিকিম প্রশাসন। ঘটনার পরে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা ভিডিও। এদিকে বিপর্যস্ত কালিম্পংও। ধসে গেছে রাস্তা। তিস্তা বাজার, রাম্পু সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং দার্জিলিং যাওয়ার বিকল্প রাস্তার ওপর দিয়েই বইছে জল। বন্ধ হয়ে গেছে ১০নং জাতীয় সড়ক। গজলডোবা, জলপাইগুড়ি় সহ তিস্তা তীরবর্তী এলাকাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে চুংথাং বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে, নীচের দিকে জলের স্তর হঠাৎ করে ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ কারণে সিংগামের কাছে বারডাংয়ে পার্ক করা সেনাবাহিনীর গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২৩ জন কর্মী নিখোঁজ এবং একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি যানবাহন তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তল্লাশি অভিযান চলছে।
বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেছে সিকিমে। উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি ও হড়পা বানের কারণে লাচেন উপত্যকার তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে হড়পা বানের কবলে পড়ে ২৩ জন সেনা জওয়ানের ভেসে যাওয়ার খবর মিলেছে। নিখোঁজ সেনা জওয়ানদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে। প্রতিরক্ষা পিআরও গুয়াহাটি এই ঘটনার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊