WB School News: শিক্ষকের অভাবে মৃতপ্রায় বিদ্যালয়,পড়ুয়া কমে ২৫

school



রঞ্জিত ঘোষ, বাঁকুড়া : 
বাঁকুড়া জেলার ছাতনাব্লকের অন্তর্গত আড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বিন্দাজাম গ্রামের সিহিকা সাঁওতাল জুনিয়র হাইস্কুল। ২০১৪-১৫ সালে তৈরি করা স্কুল বিল্ডিং যেন খাঁ খাঁ করছে। স্কুল বিল্ডিং এর কক্ষগুলি যেখানে কচি কাঁচার প্রাণোচ্ছল হাসিতে ভরে থাকার কথা, সেখানে পড়ে রয়েছে নোংরা আবর্জনা। ভগ্নপ্রায় জানালা-দরজা, নেই বসার জন্য বেঞ্চ পর্যন্ত। ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য লাগানো সাবমারসিবল পাম্প আজ কোথায়, তা কেউ জানে না। লাইট, ফ্যান উধাও হয়ে গেছে চোখের অগোচরে। স্কুলের দায়িত্বে রয়েছেন একটি মাত্র শিক্ষক। স্থানীয়দের অভিযোগ অনিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষক এবং শিক্ষকের অভাবেই নাকি প্রায় শতাধিক সাঁওতাল পড়ুয়া নিজের গ্রাম ছেড়ে প্রায় চার পাঁচ কিলোমিটার দূরে ছেলে মেয়েরা অতি কষ্ট করে পড়াশোনা করতে যাচ্ছে বাইরের বিদ্যালয়ে।




বাঁকুড়ার বিন্দাজাম গ্রামের সিহিকা সাঁওতালি জুনিয়র হাইস্কুল, ২০১৪-১৫ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকে রমরমিয়ে চলত এই বিদ্যালয়। ছিল সব রকম সুব্যবস্থা। তারপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে শিক্ষকের সংখ্যা। একে একে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের পরিষেবা। বিদ্যালয় কক্ষের কাঠের দরজায় ঘুন ধরে গেছে এখন। কক্ষগুলি খোলাই থাকে সবসময়। স্থানীয়রা বলছেন স্কুল থেকে একে একে চুরি হয়ে গেছে সবকিছু। ভারপ্রাপ্ত-শিক্ষক যিনি রয়েছেন তিনি নামমাত্র বিদ্যালয় আসেন। বিন্দাজাম গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ কুন্ডু জানান - মাসে দশে বিদ্যালয়ে আসেন শিক্ষক। দশটায় এসে এগারোটায় টায় চলে যান। একসময় সবই ছিল আজ প্রত্যেকটা জিনিস চুরি হয়ে গেছে।




সিহিকা সাঁওতালি জুনিয়র হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক যদিও স্থানীয়দের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।




স্কুল পরিদর্শক সুদীপ জানা বলেন "বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক যিনি রয়েছেন ওনাকে বিদ্যালয়ের ঠিক কি কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তার একটি অফিসিয়াল প্রপোজাল জানানোর জন্য বলা হয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে সেই প্রপোজাল শিক্ষক যদি জানান তারপরেই পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।