পাটের ন্যূনতম দাম কুইন্টাল প্রতি আট হাজার টাকা সহ একাধিক দাবীতে বিক্ষোভ 

dinhata





দিনহাটা - পাটের ন্যূনতম দাম কুইন্টাল প্রতি আট হাজার টাকা, এক'শ দিনের বকেয়া টাকা, কৃষি সরঞ্জামে ভর্তুকি সহ নানা দাবীতে দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দিল অগ্রগামী কিষান সভা। বুধবার এই বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এদিনের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা নেতা আব্দুর রউফ, সংগঠনের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক সম্পাদক মনীন্দ্রনাথ বর্মন, একরামুল হক, অজয় রায়, বিকাশ বর্মন, রোশন হাবিব প্রমুখ।

এদিন এই বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতির ফলে এ রাজ্যের কৃষকরা এক কঠিন সংকটের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। কৃষি ফসলের ন্যায্য দাম নেই। অথচ উৎপাদন খরচ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাইতো অগ্রগামী কিষান সভা মনে করে কৃষকদের উৎপাদিত পাটের দাম কুইন্টাল প্রতি আট হাজার টাকা করা দরকার। কারণ বর্তমানে বাজারে যে দামে পাট কেনা-বেচা হচ্ছে তাতে কৃষকদের লোকসান ভুগতে হচ্ছে। পাশাপাশি তারা বলেন, গ্রামেগঞ্জে এক'শ দিনের কাজ বন্ধ। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষদের। এক'শ দিনের কাজের জন্য একদিকে রাজ্য সরকার বলছে কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে না, অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে যে টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য তার হিসেব দিচ্ছেনা। এই দুই সরকারের টানা পোড়েনেই আদতে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন গ্রামের সাধারণ কৃষকরা। তাইতো গ্রামে- গঞ্জে হাজার হাজার মানুষ কাজ না পেয়ে কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। তারা বলেন, সার,বীজ থেকে শুরু করে কৃষি সরঞ্জামের দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সরকারের উচিত এইসব কৃষি সরঞ্জামের উপর ভর্তুকি দেওয়া।

এদিন সাহেবগঞ্জ বাজার থেকে অগ্রগামী কিষাণ সভার কর্মী সমর্থকদের একটি মিছিল বের হয়। মিছিল সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিস চত্বরে জমায়েত হয়। সেখানেই বিক্ষোভের পাশাপাশি দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এই স্মারকলিপি দেবার সময় সমস্যাগুলি নিয়ে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিডিও- র আলোচনা হয়। সমস্যাগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে বলে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়েছে।