Durga Puja 2023: কোন অশনি সংকেত !  মা দুর্গার এবার আগমন কোন বাহনে? 


maa durga



“যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন” তিনিই মা দুর্গা (Durga) । অন্যমতে, “যে দেবী দুর্গম নামক অসুরকে বধ করেছিলেন” তিনি হলেন দেবী দুর্গা। তাকে আমরা অনেক নামেই জানি যেমন – চণ্ডিকা, যোগমায়া, অম্বিকা, বৈষ্ণবী, মহিষাসুরসংহারিণী নারায়নী, মহামায়া, কাত্যায়নী ইত্যাদি । দেবী ভাগবত ও কালিকাপুরাণে উল্লেখ আছে, শরৎকালে শ্রীরামচন্দ্র দুর্গা পূজা করেছিলেন রাবণ বধের নিমিত্তে; এজন্য একে, ‘অকালবোধন’ও বলা হয়ে থাকে।

maa durga


প্রতিবছর বাপের বাড়িতে আসেন মা দুর্গা। আর এই আগমন কে ঘিরে শুরু হয় আনন্দ উৎসব। তবে মায়ের আগমন হয় মোট চারটি বাহনে, কখনো তিনি আসেন পালকিতে চেপে, আবার কখনো ঘোড়া, হাতি বা নৌকা। ফিরেও যান এই চার বাহনের কোন একটিতে। প্রতিবছর এক বাহনে আসেন না। বাহনের পরিবর্তন হয়।



আর মা দুর্গার এই বাহনের উপরই নির্ভর করে বাংলার ভবিষ্যৎ এমনটাই মনে করেন আপামর বাঙালি। এবছর মায়ের আগামন কোন বাহনে তা জানার আগ্রহ তাই অনেকেরই।


এবছর মা আসবেন ঘোড়ায় চড়ে আর ফিরবেনও ঘোড়াতে চেপেই। যে বাহনে আসেন সেই বাহনে ফেরেন না মা দুর্গা। যেমন যদি নৌকো করে আসেন তাহলে হাতি করে যাবেন বা যদি ঘােড়ায় আসেন তাহলে ফেরার সময় হয়তাে নৌকো করে ফিরবেন। এভাবেই এক একবার দেবী যে কোনাে দুটি বাহন ব্যবহার করেন যাতায়াতের জন্য। কিন্তু এবছর তা আর হচ্ছে না কারন এবছর মার আগমন শনি বারে এবং বিদায় মঙ্গলে। যার ফলে দুটি ক্ষেত্রেই  বাহনও এক। 


মায়ের এই বাহন বাংলার ভূত-ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে এমনটাই জনশ্রুতি। মায়ের এই চার বাহন ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। 


maa durga


একটু ভেবে দেখলে আমরা দেখতে পাই যে এই বাহনগুলি প্রত্যেকটি কিন্তু আসন্ন সামাজিক, প্রাকৃতিক এবং রাজনৈতিক দিক নির্দেশিত করে। 


দেবী দুর্গা আগমন প্রত্যাগমনের বাহন তিথি, নক্ষত্র এর বিচারে নির্দিষ্ট হয়। পুরাণ ও শাস্ত্র অনুযায়ী সােমবার ও রবিবার দেবীর আগমন বা প্রত্যাগমনের বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হয় হাতি, শনি ও মঙ্গলে ব্যবহৃত হয় ঘােড়া। বুধে যান হিসেবে ব্যবহৃত হয় নৌকো এবং বৃহস্পতি এবং শুক্রে ব্যবহৃত হয় পালকি বা দোলা।

maa durga


এই প্রত্যেকটি বাহনের সাথে জড়িয়ে আছে কিছু শুভ ও অশুভ সংকেত- যেমন হস্তী গমন এবং আগমন দুটি ক্ষেত্রেই শুভ। এর দ্বারা বােঝা যায় যে আমাদের ধরা সুজলা সুফলা হয়ে উঠবে। নৌকো করে আগমনের দ্বারা বােঝানাে হয় যে দেবী প্রচুর আশীর্বাদ, ধান, ধন সম্পত্তি নিয়ে মর্তে আসবেন।

কিন্তু নৌকো করে ফেরত যাওয়া বন্যা ও ক্ষয়ক্ষতিকে নির্দেশিত করে। ঘােড়ায় আগমন ও প্রত্যাগমন দুটি মড়ক, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, যুদ্ধ, রাজনৈতিক অস্থিরতাকে নির্দেশিত করে। পালকি বাহনটিও ভূমিকম্প, মহামারী ইত্যাদি ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত বহন করে।