রাষ্ট্রপতির হাত থেকে জাতীয় শিক্ষকের সম্মান গ্রহণ করবেন বাংলার শিক্ষক ডক্টর চন্দন মিশ্র
জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে সম্মানিত রঘুনাথপুর নফর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ডক্টর চন্দন মিশ্র। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই খুশির ছোঁয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। গত ২৬শে আগস্ট দিল্লী থেকে খবর আসে জাতীয় শিক্ষকের সম্মানে সম্মানিত করা হবে রঘুনাথপুর নফর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ডক্টর চন্দন মিশ্রকে। দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর হাত থেকে এই সম্মান গ্রহন করবেন চন্দনবাবু।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক ডক্টর চন্দন মিশ্রের নেতৃত্বে যেন এক অন্য প্রাণ পেয়েছে রঘুনাথপুর নফর একাডেমি। বিদ্যালয়ের সমস্ত রকম উন্নয়ন সাধনে তিনি প্রচেষ্টা চালিয়েছেন সফলও হয়েছেন আর তারই স্বীকৃতি পেতে চলেছেন চন্দন বাবু।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, স্কুল জুড়ে যে কাজ ছড়িয়ে আছে দেয়ালে, আচরণে, রেজাল্টে, খাতায় কলমে, অনলাইন পোর্টালে, এ তারই স্বীকৃতি। গত বছর শিক্ষারত্ন পুরস্কারের পর এই বছর জাতীয় শিক্ষকের সম্মান লাভ।
শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আঙিনায় আটকে রাখা এবং পড়াশোনার জন্য মোটিভেট করার অন্যতম কারিগর তিনি। তিনি যে একজন দক্ষ প্রধান শিক্ষক তা তিনি কাজের মাধ্যমেই প্রকাশ করেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
খবর নিয়ে জানা গেছে, রঘুনাথপুর নফর একাডেমির প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা,আর কাজের প্রতি অক্লান্ত আন্তরিকতার ড়জূরী মেলা ভার। সকল কাজেই তিনি নিজের বাড়ির মতো মনে করেছেন। প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর সাথে তাঁর সম্পর্ক বেশ আন্তরিক। প্রত্যেকের নাম ধরে চেনেন,পরিবারের খবর রাখেন। আপ্রাণ চেষ্টা করে উচ্চ মাধ্যমিকে নতুন নতুন সাবজেক্ট আনেন, সায়েন্স চালু করেন। এর সাথে সাথে ছাত্রদের নিয়ে গান শেখান, খেলাধূলতেও উদ্বুদ্ধ করেন ছাত্রছাত্রীদের। গোটা লকডাউন পর্বে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস, ছাত্র ফেরাতে বাড়ি বাড়ি ছুটে গিয়েছেন। বিদ্যালয় এলাকায় কোনো সামাজিক জনকল্যাণমুখী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলে তিনি ছুটির দিনের বিশ্রাম ও ব্যস্ততা ভুলে ছুটে আসেন। যাতে তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয় এলাকার ছাত্ররা।
ইংলিশ এবং এডুকেশন দুটি সাবজেক্টে মাস্টার ডিগ্রি চন্দন বাবুর। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের দুটি ক্লাসই নেন। পাঁচ বছর আগে পাশ করা ছাত্ররাও আপ্লুত হয় তাঁর ম্যাকবেথ পড়ানোর কথা মনে করে। অবক্ষয়ের যুগে দাঁড়িয়ে পোশাক, চুল, অভদ্র আচরণ বা ভাষার সঙ্গে কোনো আপস করেন না। ডবল এমএ-র পাশাপাশি ডক্টরেট ডিগ্রিও অর্জন করেছেন তিনি। বিভিন্ন অনলাইন ট্রেনিং দেন রাজ্য স্তরে। SCERT থেকে নতুন সিলেবাস কমিটি সব জায়গায় জ্বলজ্বল করে তার নাম।
আদর্শ মানুষকেই এই আদর্শ সম্মান দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে এলাকার ওয়াকিবহাল মহল।
Post a Comment