Dinhata College : কলেজের প্রফেসরের কাছে টিউশন পড়লে পরীক্ষায় মিলছে বাড়তি সুবিধা ! গুরুতর অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের
দিনহাটা কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষকরা অতিরিক্ত সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে। এমনই অভিযোগ তুলে কলেজে বিক্ষোভ দেখালো ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ যেসব ছাত্রছাত্রীরা কলেজের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদেরকেই এ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে বাকি অংশের পরীক্ষার্থীরা ফল খারাপ হবে এই আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আর এমনই অভিযোগ দিন কয়েক আগে কলেজের অধ্যক্ষকে জানাতে গেলে উল্টো কলেজ কর্তৃপক্ষই ছাত্রছাত্রীদেরকে অপমান করে। উল্টো কলেজের অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা আন্দোলন করে সেই ছাত্র-ছাত্রীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলেও পাল্টা অভিযোগ আনলেন তারা।
একদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অন্যদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের পাল্টা অভিযোগ কে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই দিনহাটা কলেজে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা কলেজে গত ২৭শে জুলাই একটি ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছে। তাদের অভিযোগ সেখানে ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ জানাতে গেলে তাদেরকেই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে সেই ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা কর্তৃপক্ষ তুলে না নিলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
এ নিয়ে অবশ্য কলেজের অধ্যক্ষর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন ' এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু বলবেন না।' কলেজের ছাত্রদের মধ্যে জসিম আলী জানান, কলেজে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি কলেজের শিক্ষকদের কাছে যে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে তাদেরকে পরীক্ষা হলে অতিরিক্ত সুযোগ করে দিচ্ছে সেই শিক্ষকরা। আমাদের কাছে তার প্রমাণ রয়েছে। গত ২৭ শে জুলাই এই অভিযোগই আমরা কলেজ অধ্যক্ষের কাছে জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। বিষয়টি আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কেউ জানাবো। তারপরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয় সে ক্ষেত্রে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।
কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা আমির আলম জানান, কলেজের পঠন পঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অধ্যক্ষের সাথে দেখা করে সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। কিন্তু এখনো সমস্যা যেখানে সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত ২৭ শে জুলাই এর ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছে সেটা যদি তুলে নেওয়া না হয় সেক্ষেত্রে কলেজের অধ্যক্ষকে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীরা যেভাবে অপমান করেছে সেক্ষেত্রেও তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে অধ্যক্ষের কাছে। কলেজের শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবেশ ঠিক করার জন্য আমরা আবারো অধ্যক্ষের কাছে দাবি জানাব।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊