২১শে জুলাইয়ের সভার কারণেই বাস শূন্য জেলা!
সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-
কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের সভার জন্য গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও রীতিমত সমস্যায় পড়বেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রতি বছরের মত এবারও ২১ জুলাইয়ের সভার জন্য গোটা জেলার প্রায় সিংহভাগ বাসই তুলে নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত বুধবার থেকেই অনেক বাসকে আটকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর মিলেছে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই জেলা জুড়ে বাসের আকাল দেখা দিয়েছে। শুক্রবার তা কার্যত শূন্যতে পৌঁছানোর আশংকা দেখা দিয়েছে। যদিও বর্ধমান জেলা বাস এ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা কার্যত বাস তুলে নেবার অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবারের মত এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ জুলাই শহীদ দিবসে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপকভাবেই তোড়জোড় শুরু করে। গড়ে প্রতিটি ব্লক থেকেই ১৫-২০টি করে বাসে লোক নিয়ে যাবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এতেই বাসে টান পড়েছে। নির্ধারিত দিনে বাস যদি না পাওয়া যায় কিংবা অন্যরা হাইজ্যাক করে সেই আতংকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বুধবার থেকেই তৃণমূল নেতারা বাস আটকাতে শুরু করে দেন। ফলে বৃহস্পতিবার থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রীরসা সমস্যায় পড়েন। যদিও বাস তুলে নেওয়ার বিষয়ে তৃণমূলের নেতারা কেউই মুখ খুলতে রাজী হননি।
যদিও এব্যাপারে বর্ধমান জেলা বাস এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, বাস তুলে নেবার খবর তাঁর জানা নেই। দক্ষিণ দামোদরে দু-একটি বাসকে আটকে রাখা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু গোটা জেলা জুড়ে বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি কোনো খবর পাননি। অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের দুই প্রান্ত নবাবহাট এবং উল্লাস বাসস্ট্যাণ্ড ছিল রীতিমত ফাঁকা। দুএকটি বেসরকারী বাসের দেখা মিললেও তাতে ছিল বাদুড়ঝোলা ভিড়। অন্যদিকে, সরকারী বাসের দেখা মেলেনি। এমনকি এদিন বর্ধমানের সরকারী বাসের ডিপোয় গেলেও এব্যাপারে কোনো সরকারী আধিকারিক মুখ খুলতে রাজী হননি।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊