Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

কাঙাল হরিনাথের ১৯০তম জন্মবর্ষে মুক্তধারার আলোচনাসত্র

কাঙাল হরিনাথের ১৯০তম জন্মবর্ষে মুক্তধারার আলোচনাসত্র


কাঙাল হরিনাথ
মুক্তধারার আলোচনাসত্র



দীপাঞ্জন দে: বাংলা গ্রামীণ প্রকাশনীর জনক বললে তাঁকে অত্যুক্তি হবে না— তিনি কাঙাল হরিনাথ। কাঙাল হরিনাথের ১৯০তম জন্মবর্ষে কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘মুক্তধারা’র পক্ষ থেকে এক আলোচনাসত্রের আয়োজন করা হয়েছিল।

সমাজবিপ্লবী কাঙাল হরিনাথের সমকালে ও তাঁর জীবনাবসানের পর তাঁর শুভানুধ্যায়ী, অনুরাগীরা তাঁকে নিয়ে পরিমিত চর্চা করলেও, পরবর্তীতে কাঙাল হরিনাথকে নিয়ে বিস্তারিত চর্চা খুব বেশি হয়নি। অনুসন্ধানী গবেষকদের কাছে যা বিশেষ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আজকের দিনে তিনি অনেকটাই বিস্মৃত। ‘মুক্তধারা’ সংস্থা তাদের এবারের আলোচনাসত্রে কাঙাল হরিনাথকেই বিষয় হিসেবে নির্বাচন করেছিল। এটি ছিল ‘মুক্তধারা’-র ৪৭তম আলোচনাসত্র।

২ জুলাই ২০২৩ (রবিবার) কৃষ্ণনগর পৌরসভার দ্বিজেন্দ্রমঞ্চে এই আলোচনাসত্র বসেছিল। এদিনের আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘কাঙাল হরিনাথ — এক অবিস্মরণীয় সমাজবিপ্লবী’। আলোচক ছিলেন শহরের প্রবীণ ব্যক্তিত্ব শিবনাথ চৌধুরী। দ্বিজেন্দ্রমঞ্চে এদিন বহু মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন ‘মুক্তধারা’-র আলোচনাসত্র শুনতে। ‘মুক্তধারা’ আয়োজিত আলোচনাসত্রগুলির প্রথমে একটি উদ্বোধন সংগীত থাকে, তারপর মূল আলোচনা শুরু হয়। সেই প্রথা মেনে ৪৭তম আলোচনাসত্রের শুরুতেও একটি উদ্বোধন সংগীত পরিবেশিত হয়।

“ফিরে চল্‌, ফিরে চল্‌, ফিরে চল্‌ মাটির টানে—

যে মাটি আঁচল পেতে চেয়ে আছে মুখের পানে॥”

—এই গানটি ৪৭তম আলোচনাসত্রের শুরুতে ‘গীতাঞ্জলি’ গানের স্কুলের দুই ছাত্রীর কন্ঠে পরিবেশিত হয়। এদিনের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট কবি রামকৃষ্ণ দে।

আলোচক শিবনাথ চৌধুরী কাঙাল হরিনাথের কর্মজীবনকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করে এদিনের সমগ্র আলোচনাটি করেন। যথা— ক) কাঙাল হরিনাথের শৈশবকাল, খ) সমাজ সংস্কারক হিসাবে তাঁর কর্মকাণ্ড, গ) তাঁর সাহিত্যকর্ম, ঘ) গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর সংগ্রাম, এবং ঙ) ফিকিরচাঁদ বাউল দল গঠন ও বাউল গান রচনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code