'সব শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলা সম্ভব নয়': রাজীব সিনহা
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে সমস্ত পরিকল্পনা ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতির বাঁধ ভেঙে অশান্তির আগুনে রক্তাক্ত বাংলা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর পরও প্রাণ ঝড়লো অকাতরে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাণহানির সংখ্যা ৩২ ছুঁয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যে । এর মধ্যে, শনিবার ভোটগ্রহণের দিনই বেলা আড়াইটে পর্যন্ত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সেই বাতাবরণে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় আবারও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিন দুপুরে এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার (WB Election Commission) রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha)। মেনে নিলেন, এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, "অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।"
শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৬০০ অভিযোগ সামনে এসেছে।সেই আবহে রাজীব সিনহা বলেন, "গন্ডগোল, অশান্তির খবর এসেছে। মানুষ নিজের মতামতের নিরিখে অভিযোগ জানিয়েছেন। সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে। সবকিছু শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলা সম্ভব নয়। আবার শুধু অশান্তিই হয়েছে, এমনই বলা যায় না।"
আগের থেকেই অশান্তির যে চাপানউতোর শুরু হয়েছিল এদিন তা সংঘর্ষ, খুনোখুনির রূপ নেয়।দিনভর ভয়াবহ সন্ত্রাসে এখনও পর্যন্ত খুন হয়েছেন ১৩জন।
এদিন ভোরেই খুন হন উত্তর ২৪ পরগণার কদম্বগাছির এক আইএসএফ কর্মী। তার প্রতিবাদে আইএসএফের কর্মী সমর্থকরা দফায় দফায় টাকি রোড অবরোধ করেন। জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। কোচবিহারে খুন হয়েছেন দু'জন বিজেপি কর্মী।এছাড়াও রাজ্য জুড়ে ভোটের বলি এক প্রার্থী-সহ তৃণমূলের সাত জন কর্মী। খড়গ্রাম, রেজিনগর, মানিকচক, চাপড়া, বাসন্তী, কাটোয়া, চাকুলিয়ায় খুন সাত জন তৃণমূল নেতা-কর্মী। মুর্শিদাবাদের লালগোলা, আউশগ্রামে নিহত দুই সিপিএম কর্মী। নওদায় এক কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বেশ কিছু বুথে ব্যালট বাক্স গায়েব হয়েছে। রাজারহাটের হাতিয়াড়ার এক বুথে ব্যালট বাক্স পাওয়া গিয়েছে নর্দমায়। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার প্রশ্ন উঠে আসে এই বিশৃঙ্খলা, খুনোখুনির বাংলার ভয়াবহতা দেখে। তবে সর্বশেষ মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবাচ্ছে জনসাধারণকে।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊