primary school teachers : চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে টালবাহানা ! প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ চাকরিহারা শিক্ষকদের

চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে টালবাহানা জেলা প্রশাসনের, প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ চাকরিহারা শিক্ষকদের 

Protest


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান :-


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (primary school teachers) গোটা রাজ্য জুড়ে ২৫৫ জন শিক্ষককে 'পুর্নবহাল' করা হয়েছে। সেই সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা (primary school teachers) যথারীতি স্বাভাবিকভাবে কাজে যুক্ত হয়ে বেতনাদি পেলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৩ জন এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার ১জন সহ মোট ১৪ জনের কোনো ব্যবস্থাই হয়নি।

(ads1)


সুপ্রিমকর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পূর্ববর্ধমান জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কাজে পুনর্বহাল করার ক্ষেত্রে টালবাহানা করছে এমনকি তার ফলে অন্যান্য জেলার সকলে চলতি মাসে মাইনে পেলেও তাদের মাইনে আটকে আছে বলে অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রায় ১৪ জন চাকরী হারানো শিক্ষক (primary school teachers)।


(ads2)

অবস্থান বিক্ষোভকারী বৈশাখী বসু মল্লিক, মিঠু রায়, মিসাব আলি, প্রবীর বিশ্বাস, সুভাশীষ ঘোষ, প্রসেনজিত ভট্টাচার্য, সুশান্ত চ্যাটার্জ্জী প্রমুখরা জানিয়েছেন, তাঁদের আবেদনের পরিপেক্ষিতে সুপ্রীমকোর্ট চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে সমস্ত দিক বিবেচনা করে রাজ্যজুড়ে ২৬৯ জন চাকরীহারা-কে পুনরায় চাকরীতে বহাল করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অন্যান্য জেলা কার্যকর করলেও পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষেত্রে তা কার্যকরী হয়নি। এমনকি বাকি জেলাগুলিতে পুনর্বহাল হওয়ার পর বেতনও ঢুকে গেছে কিন্তু গত ২২ দিন ঘুরেও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ পূর্ব বর্ধমান জেলার ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। তারই প্রতিবাদে এই অবস্থান বিক্ষোভ। অবিলম্বে দাবী মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবস্থান বিক্ষোভ চলবে বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তাঁরা (primary school teachers)।



কালনা অম্বিকা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা মিঠু রায় জানিয়েছেন, ২০২২ এর ১৩ জুন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের অর্ডারে তাঁরা বর্হিষ্কৃত হন। এরপর তাঁরা ডিভিশন বেঞ্চ হয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ১১ নভেম্বর স্ব-ইচ্ছায় ফের স্কুলে কাজে যোগ দেন।



মিঠু রায় জানিয়েছেন, সেই দিন থেকে আজও এক ভাবেই স্কুল করে চলেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাঁরা কোনো বেতন পাননি। ফের ২০২৩ এর 8 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট ফের একটি নির্দেশ জারী করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড অফ প্রাইমারী এডুকেশন একটি রি-ইনস্টেট অর্ডার ইস্যু করে। সেই অর্ডারের ভিত্তিতে শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়া অন্যান্য জেলার সকলকে পুর্নবহাল করা হয় এবং তারা রীতিমত বেতন পাচ্ছেন। অথচ পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ১৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা (primary school teachers) এখনও বেতন পাননি।

(ads1)

এব্যাপারে তাঁরা দফায় দফায় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য্যের কাছে দরবার করেছেন। তিনি তাঁদের জানিয়েছেন, রি-ইনস্টেট করার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো হয়েছে পর্ষদের কাছে। এখনও তা আসেনি। বিক্ষোভকারীদের দাবী, গোটা রাজ্যের অন্যান্য জেলা রি-ইনস্টেট-এর অর্থ বুঝে গিয়ে সেই মোতাবেক ব্যবস্থাও নিল। অথচ পূর্ব বর্ধমান জেলা এর অর্থ বুঝতে পারছে না - এটাই তাঁদের কাছে অত্যন্ত বিস্ময়ের।

(ads2)

বিক্ষোভকারীরা (primary school teachers) জানিয়েছেন, যতদিন না তাঁদের দাবী মানা হচ্ছে তাঁরা এই অবস্থান চালিয়েই যাবেন। এদিকে, এব্যাপারে মধুসূদন ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরাও চেষ্টা চালাচ্ছেন দ্রুত সমাধানের জন্য। আশা করছেন ১০-১২ দিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাঁরাও চান দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ