ভোটের ডিউটি বয়কটের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামল আশা কর্মী ইউনিয়ন 

Asha

সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান:-

সরকার তাঁদের স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি, অথচ ভোটকর্মী হিসাবে তাঁদের ভোটের ডিউটি করার জন্য নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বকেয়া প্রাপ্যকে মেটানো হচ্ছেনা। এমতবস্থায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের ডিউটি বয়কটের ডাক দিয়ে আন্দোলনে নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা আশা কর্মী ইউনিয়ন। 



শুক্রবার বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিভিন্ন দাবির ভিত্তিতে প্রতিবাদ মিছিল করে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছে ডেপুটেশন দিলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমান জেলা আশা কর্মী ইউনিয়নের ইনচার্জ ঝরনা পাল জানিয়েছেন, ''আমাদের চার মাস ধরে ইনসেন্টিভ বাকি রয়েছে। এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে কাজ করার কথা বলা হলেও ফোন কেনার জন্য যে ১০ হাজার টাকা এখনো দেওয়া হয়নি। উপরন্ত নিজেদের পকেট থেকে মোবাইল রিচার্জ করে কাজ করতে হচ্ছে। ৬ মাস ধরে মোবাইল রিচার্জের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।'' 



তিনি জানিয়েছেন, ''তাঁদের দিয়ে দপ্তরের অর্ডার কপি ছাড়াও দপ্তর বর্হিভূত অনেক কাজ করানো হচ্ছে। আবাস যোজনা থেকে শুরু করে ভোট, খেলা, মেলা, দুয়ারে সরকার সমস্ত জায়গাতেই তাঁদের পাঠানো হচ্ছে বিনা পরিশ্রমিকে মহিলাদের সুরক্ষা ছাড়া। এমনকি, কফ পরীক্ষার জন্য আশা কর্মীদেরকে দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়াও নিম্নমানের ন্যাপকিন বিক্রি করার কাজ করানো হচ্ছে আশা কর্মীদের দিয়ে। অবিলম্বে এই ন্যাপকিন বিক্রি করার ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।'' 



ঝর্ণা পাল জানিয়েছেন, তাঁদের দাবিগুলি যদি সুনিশ্চিত করতে না পারেন জেলা মুখ্য মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, তাহলে তাঁরা আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের ডিউটি করবেন না।