সমকামিতা নিষিদ্ধের দাবিতে নাগরিক কনভেনশন কোচবিহারে

সমকামিতা নিষিদ্ধের দাবিতে নাগরিক কনভেনশন কোচবিহারে


সমকামিতা


শনিবার নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চ তথা নিপ্রমের আয়োজনে কোচবিহার রেডক্রশ ভবনে সকাল 11 টা থেকে সমকামিতাকে নিষিদ্ধের দাবিতে একটি নাগরিক কনভেনশন সম্পন্ন হয়।


ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় বলা হয়েছিল সমকাম এক অপ্রাকৃতিক যৌনসঙ্গম এবং এ কারনে এটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এই আইনে নারী সমকাম সম্পর্কে কোনো ভাষ্য নেই। আইনটিতে মূলত পুরুষে পুরুষে পায়ুপথে যৌন কাম নিষিদ্ধ এবং দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। 2009 সালে দিল্লি হাইকোর্ট সমকাম অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে 2013 সালে ওই আইনটিকে বহাল রেখেছিলো সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ।






নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাব্বির হোসেন বলেন- 2018 সালে সুপ্রিম কোর্টের তৎসময়ের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সমকামীকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা কে বাতিল করেছিলেন। এই রায়ের পর দেশে সমকামিতা বৈধ হয়।


সাব্বির হোসেন আরও বলেন-তারপর থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে সমকামিতা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমকামীরা বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসে সামাজিক সমস্যার তৈরি করছে। ভারতীয় ধর্মীয় সমাজে কঠোর সমস্যা হচ্ছে সমকামীতা বৈধতা পাওয়ায়।


তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়ে আমরা মনে করি রায়টি চিরস্থায়ী এবং নির্ভুল নয়।তাই আমরা দেশের সরকারের কাছে আবেদন করছি সমকামীতাকে নিষিদ্ধ করে দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন প্রণয়ন করার দাবি জানাই।


আজকের সমকামিতা নিষিদ্ধের দাবিতে নাগরিক কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন -আইনজীবী মনিরুজ্জামান ব্যাপারী, নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাব্বির হোসেন, নিরপেক্ষ প্রতিবাদী মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গঠনতন্ত্রের রচিয়তা কাউসার আলম ব্যাপারী এবং মিজানুর জামান, রাজিউল ইসলাম, লায়েক ইসলাম সহ অন্যান্যরা। নাগরিক কনভেনশনের উপস্থিতি নজর কাড়ে আয়োজকদের এবং এদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল ছাত্র-ছাত্রী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ