ঈদ ও নববর্ষের আগে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সর্বস্বান্ত, মাঝরাতের আগুনে পুড়ে ছাই কোচবিহারের অসংখ্য দোকান
কোচবিহার,বক্সিরহাট, ৬ এপ্রিল: মধ্যরাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভষ্মীভূত বক্সিরহাট বাজারের এক অ়ংশ। সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে প্রধান সড়ক সংলগ্ন বাজারের ১৬ টি দোকান। ব্যবসায়ীদের দাবি ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায় বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাজার সংলগ্ন রাস্তার ধারে একটি দর্জির দোকান থেকে আগুনের শিখা বের হ'তে দেখেন স্থানীয় লোকেরা। সাথে সাথে বক্সিরহাট দমকল কেন্দ্রে খবর দেয়া হয়।
প্রথমে দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে আরো একটি ইঞ্জিন যায়। তুফানগঞ্জ থেকে আনা হয় দমকলের আরো একটি ইঞ্জিন ।
খবর পেয়ে প্রতিবেশী অসমের গোলকগঞ্জ এবং ধুবড়ি থেকেও দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে মিলিতভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দের ঘন্টা ধরে প্রচেষ্টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে পুড়ে যায় দুটি দর্জির দোকান, একটি ওষুধের দোকান দুটি প্রসাধনী , একটি জেরক্স অনলাইনের দোকান দুটি গালামাল, স্বর্ণকার, ও কাঁচামালের দোকান সহ ১৬ টি দোকান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন তুফানগঞ্জ ২ এর বিডিও প্রসেনজিত কুন্ডু। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে হাজির হন বক্সিরহাট থানার ওসি শুভজিৎ ঝা, তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি স্বপন কুমার সাহা প্রমূখেরা। পরে তারাই উদ্ধারকার্য তদারকি করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান সামনে ঈদ ও নববর্ষের আগে তারা অনেকেই দোকানের নতুন ও বেশি করে মালপত্র তুলেছিলেন। আগুনের ভয়াবহতা বেশি থাকায় তারা কেউ কোন মালপত্র বাইরে বের করতে পারেননি সব মিলিয়ে তাদের প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয়েছে। অতি শীঘ্র সরকারি সহযোগিতা না পেলে তারা পথে বসে যাবেন ।
অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা না গেলেও ব্যবসায়ী ও দমকল কর্মীদের ধারণা এক দর্জির দোকানের শর্ট সার্কিট বা অন্য কোন কারণে প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। পরে সেখান থেকেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্র।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊