Breaking:  'ধোঁকা দেওয়ায়' ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, মৃত ৩, চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে

ambulance


মেয়ের প্রেমের সম্পর্কে বাধা পরিবারের সদস্যদের। তার জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বাড়ির ছোট মেয়ের সাথে প্রেম করত অভিযুক্ত যুবক কিন্তু বাবা মায়ের আপত্তি ছিল। আর সেই কারণেই প্রেমিকার বাবা-মা এবং প্রেমিকার দিদিকে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ছোট মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। জখম হয়েছে প্রেমিকাও।

ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচির হসপিটাল পাড়া এলাকায়। হাসপাতালে নিয়ে আসতে আসতেই মৃত্যু হয় প্রেমিকার মা নিলীমা বর্মনের। তিনি শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। মৃত্যু হয় তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মনের। তিনি তৃণমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতির। পাশাপাশি কোচবিহার এম জে এন হাসপাতালে মৃত্যু হয় দিদির। তিন জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকাজুড়ে।

শুক্রবার ভোর চারটা নাগাদ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। আর এনিয়ে পরিবারে অশান্তিও হয়।

অভিযোগ, তার জেরেই অভিযুক্ত যুবক এদিন ভোর রাতে প্রেমিকার বাড়িতে এসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। প্রতিবেশীরা চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে এসে দেখে ওই যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার নৃশংশভাবে কোপাতে থাকে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাদেবীকে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে দুই মেয়ে ইতি বর্মন ও রুনা বর্মন।

স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে এসে অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনা রয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে যান মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিত মন্ডল সহ পুলিশ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে মাথাভাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা এবং শীতলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী।

কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, এদিন সকালে আনুমানিক ভোর চারটা নাগাদ শীতলকুচিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে শীতলকুচি থানার পুলিশ। ঘটনা সম্পূর্ণ তদন্ত করছে পুলিশ।

এদিকে অসুস্থ অবস্থায় অভিযুক্ত যুবক জানান, ইতি বর্মনের সঙ্গে চার বছরের প্রেম। আমাকে ধোঁকা দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটিয়েছি।