Dearness Allowance : ‘ডিএ দিলে ভালবেসে দেব’- মহার্ঘ্যভাতা নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী 

Dearness Allowance



রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance)- নিয়ে এবার উল্টো সুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়।  ডিএ  (Dearness Allowance) নিয়ে তিনি আজ বলেন , ‘‘আমি যদি ভালবেসে দিই, নিশ্চয়ই দেব।’’

গত ১০ মার্চ রাজ্য জুড়ে সরকারী কর্মচারীদের  ধর্মঘট, সরকারি বিভিন্ন নির্দেশ অমান্য করে যে সাহস দেখিয়েছেন তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় এমন সুর শোনাগেলো। 

এদিকে আগামী ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে শুনানি। তার আগেই মমতার মঙ্গলবারের বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্যভাতা নিয়ে এবার নমনীয় হবেন ! 

মঙ্গলবার আলিপুর জেলা আদালতের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই ডিএ (Dearness Allowance) প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘আমরা তো আইনজীবীদের উপর নির্ভর করি। বিচারপতিদের রায়কে সম্মান জানাই। আমি অধিকার কাড়ার পক্ষে নই। আমি অধিকার দেওয়ার পক্ষে। যেটা আইনত স্বীকৃত, সেই অধিকার।’’ 

তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন বিরোধী ছিলাম, তখন দেখতাম শিক্ষকেরা মাসের এক তারিখে মাইনে পান না। কখনও তিন মাস-ছ’মাস মাইনে হত না। অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর অবস্থাও তা-ই। সময় মতো পেনশন হত না। আজ গর্ব করে বলতে পারি, এত ধার করে রেখে যাওয়া সত্ত্বেও আমরা মাসের এক তারিখে মাইনে দিই। পেনশনটাও দিই। এই মানবিক সরকারকে নিয়ে এত ভাববেন না।’’

এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘আমরা ষষ্ঠ পে কমিশন অনুযায়ী টাকা দিয়েছি। কিন্তু আপনারা কাজ করবেন রাজ্য সরকারের হয়ে, আর বলবেন কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ দিতে, এটা তো হয় না।’’ 

সেই প্রসঙ্গ ধরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আলাদা বেতন পান। রাজ্যের স্কুলের শিক্ষকরা আলাদা বেতন পান। কেন্দ্র এবং রাজ্যের পরিকাঠামো আলাদা। আমি যদি ভালবেসে দিই, নিশ্চয়ই দেব। ২০১৯ সালের পে কমিশনে পুরোটাই দিয়েছি। কিন্তু এক দিকে এতগুলো প্রকল্প চলছে, অন্য দিকে আর কত করতে পারে একটা সরকার!’’

এমন ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যে বর্ধিত ডিএ (Dearness Allowance) দেওয়া সম্ভব নয় তা আগেও বলেছেন তিনি। তবে এদিনের বক্তব্য আগের মতন ঝাঁঝালো ছিলো না।  আগে তিনি বলেছিলেন ‘‘ অনেকে বলে, এটা পেলাম, ওটা দাও, এটা পেলাম, ওটা দাও। আরে যেটা পেলে সেটাকে ধরে রাখতে গেলে যে টাকার প্রয়োজন সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে আর মিথ্যা কথা বলছে।’’

গত ৬ মার্চ  বিধানসভাতেও ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন- ‘‘সিপিএম আমলের ডিএ বাকি ছিল। ৩৪ বছরে পুরো ডিএ দেয়নি। ৯৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ মিলিয়ে আমরা ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছি।’’


তবে এদিন সম্পূর্ন আলাদা ভঙ্গিতে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (Dearness Allowance) নিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।