অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ-স্কুল চত্ত্বরে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

অতিরিক্ত ফি

আসানসোলের ইসমাইলে তুলসীরাণী গার্লস হাইস্কুলে ২০২৩ সালে ভর্তির জন্য ১০০০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে স্কুল চত্ত্বরে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখায়। এই বিক্ষোভের ঘটনায় স্কুল চত্ত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।অভিভাবকদের তরফে জানানো হয়েছে হঠাৎ ফি বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। এই টাকা তাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ পৌচ্ছায়। স্কুল কতৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে স্কুলের অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য ১০০০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।

ক্লাস সিক্সের ছাত্রী সায়ন্তিকা বিশ্বাস জানায় যে আমাদের কাছ থেকে স্কুলের ভর্তির ফি পাব ১০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে যারা যারা দিতে পারছে তাদেরকে বই দেওয়া হচ্ছে। আর যারা দিতে পারছে না তাদের কে বই দেওয়া হচ্ছে না।

অন্যদিকে আরও এক অভিভাবক চৈতালি পন্ডিত জানান যে আমরা দিনানা দিন খায় পরিবারের লোকের বাড়িতে কাজ করি। আমরা এত টাকা দিতে পারব কি করে স্কুলের দিদিমনিরা বলছে বাইরে থেকে দিদিমণি নিয়ে এসেছি তার জন্য ডোনেশন লাগবে।

পঙ্কজ কর্মকার নামের এক অবিভাবক জানান বালিকা শিক্ষা সদনে আমার ভাইজিরা পড়াশোনা করে, এছাড়াও এখানে অনেকেই এই স্কুলে পড়াশোনা করে স্কুল থেকে এক হাজার টাকা করে ডোনেশন চাইছে সরকারি স্কুলে ডোনেশন কিসের জন্য একটা ছাত্রীর পিছনে যদি ১০০০ টাকা নেয়া হয়, একটা পরিবারের যদি চারজন ছাত্রী এই স্কুলে পড়ে তাহলে তাকে চার হাজার টাকা ডোনেশন দিতে হবে। সেটা আমাদের কাছে সম্ভব নয়। করোনার পর থেকে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আমরা হার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি কিন্তু সরকারি স্কুলে এই ডোনেশন যাওয়া কি বাস্তব। শিক্ষকদের জানতে চাইলে শিক্ষকেরা বলছেন যে আমরা পাঁচজন বাইরে থেকে শিক্ষক রেখেছি এবং স্কুলের ডেভলমেন্ট এর জন্য এই টাকা আমরা নিচ্ছি।

এই বিক্ষোভের পরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বাড়তি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, সামান্য টাকা বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত পরিচালন সমিতি ঠিক করেছে। তিনি আরো বলেন আমাদের এই ইস্কুলে বেশ কয়েকটি কন্টাক্টচুয়াল শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে, অনেক টিচার রিটার্ড হয়ে গেছেন, এছাড়া ক্লিনিং চার্জ সুইপার নাইট গার্ড নেওয়া হয়েছে, এরই জন্য ছোট একটা এমাউন্টের টাকা আমরা নিচ্ছি যদি সরকার থেকে শিক্ষক রিক্রুটমেন্ট হয়ে যায় তাহলে আমাদের এই সমস্যাটি আর থাকবে না স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বর্ণালী মিশ্র এই কথা জানান। স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতির এই প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডিইও বা ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এইভাবে কোন স্কুল ডোনেশন নিতে পারেনা। ঠিক কি হয়েছে, তা জানতে ডিআই বা জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন এআই বা সহকারী স্কুল পরিদর্শককে পাঠিয়ে একটা রিপোর্ট দেবেন। তার পরে দেখা হবে। যদি দেখা যায় নিয়ম ভাঙা হয়েছে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।