Lottery : জাল লটারির টিকিটের কারবার-তৃতীয় দফায় আরো চারজন গ্রেপ্তার 

Lottery




রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-

ঝাড়খণ্ড লটারির টিকিটের নামে জাল টিকিট ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। দুর্গাপুর থেকে শুরু করে আসানসোল এবং দেন্দুয়া,বরাকর,কল্যানেশ্বরী,ডুবুরডি সহ বিভিন্ন এলাকায় দুষ্কৃতিরা লক্ষ লক্ষ জাল লটারির টিকিটের কারবার করে চলেছে। এমনকি ফোনের মাধ্যমে লটারির নম্বর আগে থেকেই বুক হচ্ছে এজেন্টের মাধ্যমে। তাছাড়া জাল লটারি (Lottery) গুলির রেজাল্টের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে সেই এজেন্টের মাধ্যমে।

কিন্তু এবার তাদের জন্য কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে জামুডিয়া থানার পুলিশ। জামুডিয়া থানার পুলিশ লাগাতার জাল লটারি টিকিট বিক্রির চক্রকে ভেঙে দিতে তৎপর হয়েছে। এবার তৃতীয় দফায় আরো চারজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

প্রায় সাত হাজার জাল টিকিট ও নগদ ২১ হাজার টাকা সহ কিছু ক্যালকুলেটর বাজেয়াপ্ত করে। রবিবার পুলিশ ধৃতদের জাল টিকিট চক্র বিস্তারের অভিযোগে আসানসোল জেলা আদালতে তাদের হাজির করে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় গত পাঁচই জানুয়ারি আসানসোল সহ রানীগঞ্জ,জামুডিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে ১০ জন ও পরবর্তীতে দুইজন ও পরে ১৪ জানুয়ারি আরও দুই ব্যক্তিকে জাল টিকিট সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে ও বিক্রি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যেই টিকিট চক্রের মূল পান্ডা অরবিন্দ পান্ডা এবং রবি গিরিকে গ্রেপ্তার করে তারা।

পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসা বাদে করে পূনরায় আরো এক দফায় জামুরিয়া থানার পুলিশ ঝাড়খণ্ডের জাল লটারি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে ঘটনায় আবারও অতর্কিত অভিযান চালিয়ে কুলটি থানার নিয়ামতপুরের বামুনডিহার মহাবীর পাড়ার একটি বদ্ধ ঘরে ৭ হাজার জাল টিকিট সহ চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করলো। এবারের ধৃতরা হল মিরাজ খান(২৮), বিল্টু দাস(৩২) সহ গণেশ প্রসাদ(৩২) ও অমরদীপ সাউ(৩০) কে তারা জাল টিকিট সহ গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য ধৃতদের কাছে পুলিশ এই জাল টিকিট ছাড়াও বেশ কিছু যন্ত্রাংশ ও এই টিকিটের নাম্বার করার যন্ত্রসহ বেশ কিছু সামগ্রীক বাজেয়াপ্ত করে।রবিবার পুলিশ ধৃতদের আসানসোল জেলা আদালতে পাঠিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে ছেন।