প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকে ৩০ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের চাকরি! বড় নির্দেশ বিচারপতির


High Court



প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন চরম বেআইনির প্রমান মিলছে তখন আরো কড়া পদক্ষেপ হাইকোর্টের। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির হুঁশিয়ারি বেআইনি হলেই বাতিল। এর ফলে প্রশ্নের মুখে ৩০ হাজার চাকরিরত শিক্ষকের ভবিষ্যৎ।




কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাকারীদের ১৩৯ জনের নম্বর মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। মঙ্গলবার প্রাথমিকের ভুয়ো নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতেই বিচারপতি আরও কড়া সুরে বলেন, যদি বেআইনিভাবে কেউ চাকরি পেয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয় তবে সকলের চাকরি বাতিল করবে আদালত।



এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ডকে নির্দেশ দেন, এই ১৩৯ জনের নম্বর যাচাই করে দেখার জন্য। মামলাকারীদের তালিকার সঙ্গে বোর্ডের তালিকা মিলিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন বিচারপতি।



প্রাথমিকের একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব নির্দেশে নম্বরের বিভাজন সহ মেরিট লিস্ট প্রকাশ করে পর্ষদ। যদিও তাতে বিস্তর অভিযোগ সামনে আসছে।



নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন একদল চাকরি প্রার্থী। মামলাকারীরা ১৩৯ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করে আদালতে জমা দেন। তাঁদের দাবি, এই ১৩৯ জনের নম্বর প্যানেলভুক্তদের তুলনায় বেশি। মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের প্যানেলে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাঁদের নম্বর তাঁদের থেকে কম। তারপরেও প্যানেলে নথিভুক্ত হয়েছেন তাঁরা।



মামলাকারীদের অভিযোগ, মূলত উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর থেকেই অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন বেশি। ওয়েবসাইটে যে তথ্য আপলোড করা হয়েছে সেখানে সিংহভাগই ভুয়ো। তাঁদের দাবি, ৪২ হাজারের মধ্যে ৩২ হাজার পরীক্ষার্থীর নম্বর বেআইনি ভাবে বাড়ানো হয়েছিল।