What diseases are spread from cats : বিড়াল থেকে কোন রোগ ছড়ায় ?
পোষ্যদের মধ্যে বিড়াল খুবই জনপ্রিয়। বিড়াল নিয়ে যেমন বিভিন্ন লোক সংস্কার রয়েছে, তেমনি রয়েছে নানান লোককথা-বিশ্বাস। তবে বিড়ালের মতন আদুরী , আর বোধ হয় কোন প্রাণি নেই। তাই তো বাড়ির অন্দর মহলে অবাধ যাতায়াত 'বাঘের মাসি'র । তবে আপনি জানেন কি বিড়াল থেকে কতটা বিপদ হতে পারে আপনার ?
বিড়াল ডিপথেরিয়া রোগের বাহক। তাছাড়া বিড়াল একটি পরজীবী জীবাণু বহন করে। যার নাম "টক্সোপ্লাজমা গনডি"। টকসোপ্লাজমসিস নামে এক ধরনের এককোষী পরজীবী রয়েছে, যা এ রোগ সৃষ্টির কারণ। টকসোপ্লাজমসিস পরজীবী জীবাণু সুস্থ বা অসুস্থ সব ধরনের বিড়ালের মুখে এবং মলমুত্রে থাকে। বিড়ালের শরীরেও লেগে থাকে এই জীবাণু। খাবার-পানীয়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে জীবাণু ঢুকে যেতে পারে। রোগ হলে মহিলাদের বার বার গর্ভপাত হয় বলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু রোগতত্ত্বের গষেক ড. বার্টার জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এ রোগের কারণে মৃত শিশু জন্ম নিতে পারে। পুরুষদের মাথায় সিস্ট হতে পরে। শিশুরা বিড়ালের সঙ্গে একান্ত হলে তাদের লিম্ফ গ্লান্ডস ফুলে গিয়ে জ্বর হয়। প্লীহা বড় হয়ে যায়।’
আশঙ্কার বিষয় হলো বেশির ভাগ বিড়ালের শরীরেই এই জীবাণু থাকতে পারে। ফলে পোষা বিড়ালের কাছ থেকেই এমন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে শিশু-কিশোরদের। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে পিটিআই এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানলি মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা শৈশবে বিড়াল পোষার সঙ্গে সিজোফ্রেনিয়ার যোগসূত্র নিয়ে আগের কিছু গবেষণার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করেন। এতে দেখা গেছে শৈশবে বিড়াল পোষার অভ্যাস ছিল এমন ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পরবর্তী জীবনে মানসিক রোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকি থাকে।
গবেষকেরা বলছেন,‘তিনটি আলাদা গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে বাড়িতে বিড়াল পোষার রীতি ছিল এমন পরিবারের ছেলে-মেয়েদের পরবর্তী জীবনে সিজোফ্রেনিয়া বা অন্য মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়।’ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে সিজোফ্রেনিয়া বুলেটিনে।
তাছাড়া বিড়ালের লোম থেকে ডিপথেরিয়া এবং হাঁপানী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। মোটকথা হাঁপানী, ডিপথেরিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া রোগ বিড়ালের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে হতে পারে ।
0 মন্তব্যসমূহ
thanks