INDIA VS BANGLADESH : বাংলাদেশকে পাঁচ রানে হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে


INDIA VS BANGLADESH




রোমাঞ্চকর ম্যাচে বাংলাদেশকে পাঁচ রানে হারিয়েছে ভারতীয় দল। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ভারতের 20 ওভারে ছয় উইকেটে 184 রান। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশকে 185 রান করতে হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে 16 ওভারে 151 রানের লক্ষ্য পায়। তিনি 16 ওভারে ছয় উইকেটে 145 রান করতে পারেন।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ২০ রান। আরশদীপ সিং দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। নুরুল হাসান সোহান একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে ম্যাচকে শেষ বলে নিয়ে গেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। অপরাজিত ৬৪ রানের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান বিরাট কোহলি।

এই জয়ে ভারতীয় দল গ্রুপ 2-এর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে। চার ম্যাচে ভারতের এখন ছয় পয়েন্ট। দলের সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তা সহজ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ চার পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় এবং পাকিস্তান দুই পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ। এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য রাস্তাটি কঠিন হয়ে পড়েছে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। ভারত প্রথম ধাক্কা পায় ১১ রানে। ফের একবার ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। আট বলে দুই রান করে আউট হন তিনি। এরপর বিরাট কোহলি ও রাহুল দ্বিতীয় উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। রাহুল তার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের 21তম ফিফটি করেন। ৩২ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায় আউট হন তিনি। সাকিবের বলে মুস্তাফিজুরের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন সূর্যকুমার ও কোহলি। ১৬ বলে ৩০ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। ইনিংসে মারেন চারটি চার। এর পর হার্দিক পান্ডিয়া পাঁচ রানে আউট হন এবং দিনেশ কার্তিক সাত রান করেন। সাত রান করে আউট হন অক্ষর প্যাটেল। ৮টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৪৪ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। এই সময়ে তার স্ট্রাইক রেট ছিল 145.45। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ নেন তিনটি উইকেট। একই সঙ্গে দুই উইকেট নেন অধিনায়ক সাকিব।

185 রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। সাত ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে দল সংগ্রহ করেছে ৬৬ রান। দলটি নয় রানের হারে রান করছিল। সপ্তম ওভারে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় এবং ম্যাচটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ বলে ৭ রান এবং লিটন দাস ২৬ বলে ৫৯ রান করেন। এ সময় ম্যাচ থেমে গেলে ভারতীয় ভক্তদের মুখে ছিল হতাশা।

ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে ছিল ১৭ রানে। ম্যাচে বৃষ্টি হলে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে টিম ইন্ডিয়া ১৭ রানে হেরে যেত। সব ভারতীয় সমর্থক বৃষ্টি থামার অধির অপেক্ষায় ছিলেন। প্রায় এক ঘন্টা পরে বৃষ্টি থামল এবং এটি টিম ইন্ডিয়ার জন্য একটি অলৌকিক হিসাবে এসেছিল। যেখানে বৃষ্টির আগে বাংলাদেশ দল জিতেছিল, সেখানে বৃষ্টির পর দুর্দান্ত কামব্যাক করল টিম ইন্ডিয়া।

বৃষ্টির কারণে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়ম অনুযায়ী, 16 ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য 151 রানের টার্গেট ছিল। সাত ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে এখন নয় ওভারে তার প্রয়োজন আরও ৮৫ রান। তখন বাংলাদেশের হাতে 10 উইকেট ছিল, কিন্তু টিম ইন্ডিয়া ফিরে এসে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়।

বৃষ্টির পর প্রথম ওভার এবং ইনিংসের অষ্টম ওভার নিয়ে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হন লিটন দাস। সরাসরি হিটে লিটনকে প্যাভিলিয়নে পাঠান কেএল রাহুল। ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে প্রমাণিত হয়। সাতটি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৬০ রান করে আউট হন লিটন। এরপর উইকেটের তোড়জোড়। ২৫ বলে ২১ রান করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। 12তম ওভারে টিম ইন্ডিয়াকে ফিরিয়ে দেন আরশদীপ। এই ওভারে তিনি নেন দুই উইকেট। আরশদীপ প্রথমে আফিফ হুসেনকে (২) প্যাভিলিয়নে পাঠান। এরপর দীপক হুদার হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ১৩ রান করতে পারেন সাকিব।

১৩তম ওভারে হার্দিক নেন দুই উইকেট। প্রথমে ইয়াসির আলিকে আরশদীপের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এর পর ক্লিন বোল্ড হন মোসাদ্দাক হোসেন। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান। 15তম ওভারে হার্দিক বল করতে এসে 11 রান দেন। এভাবে শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২০ রান। বোলিংয়ের দায়িত্ব ছিল আরশদীপের হাতে। এই ওভারে ১৪ রান দেন তিনি। এই ভাবে পাঁচ রানে ম্যাচ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশ দল ছয় উইকেটে মাত্র ১৪৫ রান তুলতে পারে।