dearness allowance-তাহলে কি সুপ্রীম কোর্টে যাচ্ছে না রাজ্য সরকার ! কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে কি ভাবনা ?





৪ নভেম্বর, শুক্রবারের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে হলফনামা দিয়ে ডিএ মেটানো নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করবার আদেশ দিয়েছিলো কলকাতা উচ্চ আদালত। যদিও মঙ্গলবার পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও তথ্য পায়নি কর্মচারী সংগঠনগুলি। ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তবে কি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চাইছে রাজ্য! তবে জানা যাচ্ছে, সুপ্রীম কোর্ট নয় বরং কলকাতা উচ্চ আদালতে হলফনামা পেশ করবার পথেই হাটবে রাজ্য ।


আইনজীবীদের মতে, শুক্রবারের মধ্যে হলফনামা দেওয়া এড়াতে হলে আরও আগে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হত রাজ্যকে। বৃহস্পতিবারেও যদি রাজ্য শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) যায়, তা হলেও এত অল্প সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) থেকে স্থগিতাদেশ আনা কার্যত অসম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এবং সরবরাহ সংস্থার কর্মী-ইঞ্জিনিয়ারদের কেন্দ্রীয় সরকারের হারেই ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, আর হয়তো সুপ্রীম কোর্টের দিকে পা বাড়াবে না রাজ্য সরকার।

ফলে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভূমিকা নিতেই হবে বলে মনে করছেন একাংশ ।

এখন দেখার হলফনামায় কোন পথে হাটতে চাইছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার তার কর্মচারীদের ডিএ দেবে না আবারও বিলম্বিত করবে এখন তাই দেখার। আর হলফনামা জমা দিলেও সেই ফলফনামায় রাজ্যসরকার কি বলবেন, কেন ডিএ দিচ্ছেন না, তার কারন হিসাবে কি উপস্থাপন করবেন তা দেখার জন্যই মুখিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকারের কর্মচারী মহল। 

আনন্দবাজারকে এক সাক্ষ্যাৎকারে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০ মে আদালত বলেছিল তিন মাসের মধ্যে ডিএ দিতে হবে। ২২ সেপ্টেম্বর পুনর্বিবেচনার আর্জিও খারিজ করেছিল আদালত। তার পরেও এতদিন পর্যন্ত সরকারের কাছে ডিএ দেওয়ার সুযোগ ছিল। ৪ তারিখ মুখ্যসচিব-অর্থসচিব হলফনামা দিলে আমাদেরও বক্তব্য জানাতে হবে আদালতকে।’’ রাজ্য কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ শীলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘৯ তারিখ শুনানির আগে সুপ্রিম কোর্টে সরকার যাবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। যাই হোক, আমরা তৈরি রয়েছি।’’