'নির্বাচন কমিশনকে বলবো তৃণমূলের প্রতীক প্রত্যাহার করতে', বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ নিয়ে শুক্রবার রাজ্য মন্ত্রিসভা ও তৃণমূল সম্পর্ক কড়া পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
'কার নির্দেশে অবৈধদের শূন্যপদে নিয়োগের জন্য আবেদন কমিশনের?' নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অতিরিক্ত শূন্যপদ (additional vacant posts) তৈরি হয় শিক্ষামন্ত্রী (Education minister) ব্রাত্য বসুর (bratya basu) নির্দেশে, বিচারপতি (justice abhijit ganguli) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে জানালেন শিক্ষাসচিব (education Secretary)। আজ শিক্ষা সচিবের এই জবাবের পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
অবৈধ উপায়ে চাকরিপ্রাপকদের চাকরি যাবে না, নতুন করে শূন্যপদ তৈরি করে তাঁদের বহাল রাখা হবে— মন্ত্রিসভার বৈঠকে তেমনই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এমনটাই জবাব দেন শিক্ষা সচিব। আর তারপরেই মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা? ‘আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্যই এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল?’ বলেন, ‘আমি বিস্মিত যে কী ভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? মন্ত্রিসভাকে বলতে হবে যে তাঁরা অযোগ্যদের পাশে নেই।' ১৯ মে-র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে বলেও জানান।
এরপরেই এদিন, হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, এমন পদক্ষেপ করা হবে যা গোটা দেশে কখনও করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, 'হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, না হলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি।' সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সকলকে এসে উত্তর দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক প্রত্যাহার করার জন্য বলব। দল হিসেবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছে করা যায় না
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊