দি সিটি অফ ব্রাদারহুড না আই লাভ আসানসোল , বিতর্ক চরমে

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-

আসানসোলের কালীপাহাড়ি মোড়ে নতুন করে গেট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসানসোল পৌরবোর্ড। আর তাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই গেটে লেখা আছে দি সিটি অফ ব্রাদারহুড। কিন্তু বিরোধীদের দাবি সেই লেখা পরিবর্তন করে সেখানে আই লাভ আসানসোল লিখতে চাইছে মেয়র। আর তা নিয়েই সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবং কংগ্রেস কাউন্সিলার গোলাম সরোবর।

এদিন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন সিটি অফ ব্রাদারহুড এটা আসানসোলের আবেগ। প্রিভিয়াস বোর্ডে আসানসোলকে সিটি অফ ব্রাদারহুড নাম করা হয়েছিল তার পিছনে অনেক কারণ ছিল। আসানসোলে বহু ভাষাভাষী অনেক নানান ধর্মীয় লোক বসবাস করে, হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান এছাড়া ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের লোক এখানে বসবাস করে তাদের মধ্যে যেন একটা ভাতৃত্বের বন্ধন গড়ে ওঠে এই জন্যই ব্রাদারহুড নামটা রাখা হয়েছিল। নতুন একটা গেট হবে ঠিকই কথা কিন্তু সিটি অফ ব্রাদারহুড নাম দেওয়া গেটটা ভেঙে দেওয়ার তো তার কোন প্রয়োজন ছিল না। পুরনো যেটা ছিল সেটা একটা ঐতিহ্য।

কংগ্রেস কাউন্সিলার গোলাম সরোবর বলেন আমাদের একটাই রিকোয়েস্ট ওই নামটা যেন থাকুক আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গাতে ক্রাইসিস চলছে ঠিক মতন কাজ হচ্ছে না তার কারণ টাকা বরাদ্দ কম আছে কিন্তু বিউটিফিকেশন এর জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে তার জন্য যদি কাজ করতে হয় তাহলে পুরনো নামটা রেখে কাজ করুক এইটাই আমাদের আবেদন ছিল যে সিটি অফ ব্রাদারহুড এই নামটা যেন থাকে।

অন্যদিকে বিষয়টিকে নিয়ে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন নতুন গেট হলেও সেখানে সিটি অফ ব্রাদারহুড'ই থাকবে সেটা মোছা হবে না। তিনি বলেন সিটি অফ ব্রাদারহুড বলে আসানসোলকে সবাই চেনে, নাম চেঞ্জ হবে না, নাম একই থাকবে। আগেই তার প্রসেসিং হয়েছিল এখন টেন্ডার হয়ে গেছে, এখন তার কাজটা এখন চালু হচ্ছে। এটা কারুর ব্যক্তিগত নয় এটা গোটা আসানসোল বাসির তাই এমন কোন কাজ আমরা করবো না যেটা ঐতিহ্যকে নষ্ট করবে।