Duare Sarkar: দুয়ারে সরকার নিয়ে জেলাশাসকদের সাথে প্রস্তুতি বৈঠক সাড়লেন মুখ্যসচিব
পুজো শেষ হলেই রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার হচ্ছে তা আগেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চারটি পর্যায়ে দুয়ারে সরকার হয়ে গেছে। এই নিয়ে পঞ্চম দুয়ারে সরকার হতে চলেছে রাজ্যে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে জনগণকে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ নেওয়া হল। ১লা নভেম্বর থেকেই আরম্ভ হচ্ছে দুয়ারে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, দুর্গাপুজোর পরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হবে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দিলেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব মাল বাজারের সেচ দপ্তর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'সেচ দফতর আগে থেকে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসকে কেন জানায়নি। কেন জানাল না? ওরা কি ঘুমাচ্ছিল'?
১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দুয়ারে সরকার প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প হবে। ১–১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি।২৫টি বিষয়ে পরিষেবা মিলবে। প্রতিটি কর্মসূচির সুবিধা দেওয়া হবে এই 'দুয়ারে সরকার'-এর মাধ্যমে।
খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতি শংসাপত্র, শিক্ষাশ্রী, তফসিলি বন্ধু, জয় জোহার, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, মানবিক, কৃষক বন্ধু, ঐক্যশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং সংযুক্তিকরণ, আধার কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ, কৃষি জমির মিউটেশন, বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, প্রতিবন্ধী শংসাপত্র, মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড, কেসিসি (এগ্রিকালচার), কেসিসি (প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন), তাঁতিদের জন্য ক্রেডিট কার্ড–সহ আরও কয়েকটি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
একুশের নির্বাচনের আগে থেকে রাজ্যে শুরু হয় দুয়ারে সরকার কর্মসূচী। যার মাধ্যমে একাধিক সরকারি সুবিধা খুব সহজেই পেয়ে যান রাজ্যবাসী।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊