Breaking News : প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন লিজ ট্রাস

 
liz truss
গেটি ইমেজ থেকে সংগৃহীত 


সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, লিজ ট্রাস (Liz Truss) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন । মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবার পরই এই সিদ্ধান্ত লিজ ট্রাসের (Liz Truss)।


মাত্র ছয় বছরের মধ্যে রক্ষণশীল টোরি দলের তিন-তিন জন প্রধানমন্ত্রী যা পারেন নি, চতুর্থ নেতা হিসেবে লিজ ট্রাস (Liz Truss) তা পারেন কিনা, সে দিকেই গোটা দেশের নজর ছিলো। অবশেষে এই আশঙ্কাই সত্য হলো। 


এমন কঠিন সময়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর (British Prime Minister) দায়িত্ব পাওয়া মোটেই আনন্দের কারণ হতে পারেনি  লিজ ট্রাসের ক্ষেত্রে। প্রথমে ব্রেক্সিট, তারপর করোনা মহামারি, বর্তমানে ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে দেশটি। জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অর্থনৈতিক মন্দার অশনি সংকেত ও শিল্প-বাণিজ্য খাতে প্রবল ক্ষোভের মুখে ব্রিটেনের পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এমন  পরিস্থিতিতে দ্বায়িত্ব নিয়েছিলেন লিজ ট্রাস। 

liz truss




ট্রাস (Liz Truss) নিজে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) সরকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। গত আট বছর ধরে তিনি মন্ত্রিসভায় একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন।


অবশ্য প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) হিসেবে শপথ নেবার পর লিজ ট্রাস (Liz Truss) কঠিন পরিস্থিতি সত্ত্বেও নতুন করে অর্থনীতি আবার গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিলেন। মার্গারেট থ্যাচারের ঘোষিত অনুরাগী হিসেবে মূলত করের বোঝা কমিয়ে তিনি সেই অসাধ্যসাধন করতে চেয়েছিলেন।


সেইসঙ্গে ট্রাস (Liz Truss) রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবারও হাল ফেরাতে চেয়েছিলেন। 


তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরাসরি ব্রিটিশ ভোটারদের আস্থা অর্জনের সুযোগ  তিনি (Liz Truss) পাননি। এত বাধা অতিক্রম করে লিজ ট্রাস (Liz Truss) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (British Prime Minister) হিসেবে কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিলো বিশ্ব রাজনীতি মহলে। আর সেই আশঙ্কাই সত্য হলো। মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন লিজ ট্রাস।