Upper Primary : দীর্ঘ আট বছরের লড়াই সংগ্রাম অবসানের পথে

Upper Primary : দীর্ঘ আট বছরের লড়াই সংগ্রাম অবসানের পথে


teacher and students


অবশেষে দীর্ঘ আট বছরের লড়াই সংগ্রাম অবসানের পথে। এবার দীর্ঘ ৮ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে (Upper Primary) শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা কাটতে চলেছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট অবশিষ্ট ১,৫৮৫ জন প্রার্থীর ইন্টারভিউয়ে ছাড়পত্র দেওয়ায় ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জটিলতা কার্যত আর রইল না। তবে, ইন্টারভিউয়ের অনুমতি দেওয়া হলেও মেধাতালিকা প্রকাশের অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।


শুক্রবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বাকি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়ে ৩১ অক্টোবর কোর্ট খোলার ৩ সপ্তাহের মধ্যে সার্বিক মেধা তালিকা জমা দিতে হবে কোর্টে। তাতে ছাড় মিললেই নিয়োগ শুরু করা যাবে।


প্রসঙ্গত উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা হয়। ফল প্রকাশিত হয় ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে। নবম থেকে একাদশে শিক্ষক নিয়োগ করে তারপর উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে এসএসসি। উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা প্রকাশিত হলে একের পর এক মামলা করা হয়। ২০২০ সালে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে প্যানেল বাতিল করে দেয় আদালত। তারপরে আদালত নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং সময়সীমা মেনে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। ইন্টারভিউ নিয়ে প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত মেধা তালিকা। তাঁতেও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে আবেদন করতে থাকেন চাকরি প্রার্থীরা।


এরপর গ্রিভান্স সেল গঠন করে চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ গ্রহণ করতে শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১৮ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। তার মধ্যে থেকে ১,৫৮৫ জন প্রার্থী ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তারপর আদালতে সেই প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় এসএসসির তরফে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সেই অনুমতিই দিয়েছেন শুক্রবার।


মোট শূন্যপদের তুলনায় ইন্টারভিউয়ে উপস্থিত প্রার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় চাকরি প্রার্থীদের অধিকাংশই চাকরি পেয়ে যাবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিজ্ঞান বিভাগে পর্যাপ্ত প্রার্থী না-থাকায় ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদের জন্য মাত্র ১৫,৪৩৬ জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা সম্ভব হয়। কিন্তু উপস্থিত হন মাত্র ১২,৭৯২ জন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ