wb da news, da news west bengal today, wb da news today, wb da news, ডিএ মামলা
ইতিমধ্যে আদালতে সরকারের এজি বলেন, রাজ্য সরকার ২০০৯ সালের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ডিএ দিয়েছে। পরে ২০১৮-১৯ সালে ডিএ নিয়ে ষষ্ঠ, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ করা হয়েছিল তা রাজ্য সরকার মানেনি। তাহলে কেন সেই হারে ডিএ দেওয়া হবে?
এরই বিরোধিতা করে গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলাকারীদের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, হাইকোর্টই রায় দিয়েছিল ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। এটা কোনও দয়ার দান নয়। তাহলে রাজ্য সরকার কেন তা দেবে না? সেইসঙ্গে বিকাশবাবু আরও বলেন, মূল্য সূচকের ভিত্তিতে সমস্ত রাজ্য সরকার ডিএ দেয়। তাহলে বাংলায় কেন তা থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা?
দুই পক্ষের শুনানি শেষ। এবার রায়দানের পর্ব। আপাতত রিজার্ভ রাখা হয়েছে রায়দান। ১০ দিন অতিক্রম হতে চললেও এখনো রায়দানের কোন খবর হয়নি। ফলে আশায় বুক বেঁধে আছেন রাজ্যের সরকারী কর্মচারীরা।
প্রসঙ্গত ডিএ নিয়ে দুইটি কেস আদালতে রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে রাজ্যের রিভিউ পিটিশন এবং দ্বিতীয়টি বকেয়া ডিএ দেওয়ার রায়ের অবমাননার কেস। এই দুটির মধ্যে রিভিউ পিটিশনের শুনানি শেষ হলেও আদালত অবমাননার কেস এখনো শুনানি হয়নি।
বিটিইএ এর স্বপন মন্ডল এক ভিডিও বার্তায় ডিএ নিয়ে বলেছেন- " আদালত কেন দেরী করছে বুঝতে পারছি না, আমরা ভেবেছিলাম শুনানির ১ সপ্তাহের মধ্যে আদালত রায় ঘোষণা করবে। কিন্তু এখনো রায় দানের কোন খবর আসছে না। আমাদের কাছে বিষয়টা রহস্য মনে হচ্ছে। এই টালবাহানা নিয়ে আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আদালতের বিরুদ্ধে আমরা কোন কথা বলতে পারিনা।"
তিনি আরও বলেন- আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোন মন্তব্য করবো না, তবে রায় দানে এতো দেরী হওয়ায় সরকারী কর্মচারী মহলে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (dearness allowance) দেয়নি রাজ্য সরকার- এই অভিযোগ এনে মামলা দায়ের হয় কলকাতা উচ্চ আদালতে। ডি এ (dearness allowance) রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার বলে আখ্যায়িত করে উচ্চ আদালত। ফলে অনেক মহার্ঘ্য ভাতা (dearness allowance) বকেয়া রয়ে গেছে রাজ্য সরকারকে সেই বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে- এমন নির্দেশের পর রাজ্য সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানায়।
৮ সেপ্টেম্বর রিভিউ মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারি কর্মীদের কোনও ডিএ (dearness allowance) বাকি নেই। পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ধাপে ধাপে বকেয়া সব ডিএ (dearness allowance) মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন - "মহামান্য এজি সরকারের করা Review Petition এর উপর বক্তব্য পরিবেশন করেন। সেটাই তো আমাদের বক্তব্য। তিনি তার বক্তব্যে ROPA-2009 কে বর্নিত করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, যে সরকার Ropa-9 বলেছেন 01/07/2006 থেকে 31/03/08 পর্যন্ত কোনও ডিএ দেওয়া হবে না। আমরা তো ROPA-2009 মান্যতা দিয়ে এবং 1690-F dt.23.02.2009, finance (Audit) Deptt. যে বার্তা ছিল The Govt. employees DA entitled of the period from 01.04.08 to 31.03.09 and from 01.04.09 and Onward DA from time to time. সেই বার্তা দিয়ে ডিএ মামলা করেছি।
মাননীয় এজির হয়তো জানা নেই যে আমরা কেন 01.07.2009 থেকে বকেয়া DA Clamed করেছি। আমরা তো 01/07/06 থেকে ডিএ চাইনি। কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু 01/07/06 থেকেই ডিএ দিয়েছে।
আজ যা এজি বলেছে আমরা তা ডিএ মামলা ফাইল করার সময় বলেছি। Ropa-9 পরিস্কার বলা ছিল সরকার 01/04/08 =2%, 01/06/08=6%, 01/11/08=9% পরবর্তী 01/03/09 =12% ডিএ আমরা নয়া বেতনে বকেয়া পেয়েছি। পরবর্তী 12% + 01/04/09 থেকে 4%=16% ডিএ যোগে নয়া বেতন হাতে পেয়েছি। কিন্তু Onward DA from time to time (asper AICPI) তা কেন পাব না? সেটাই আমরা ROPA-9 মেনে 01/07/09 থেকে ক্লেম করেছি।
DA কর্মীদের পৌনঃপুনিক লাভ। তাই নিদিষ্ট সময় মতো ডিএ না পেলে কর্মীদের ক্ষতি। এক কিস্তি ডিএ ৫৪ মাস পরে পাব তা হতে পারে না। 125% DA 01/01/16 পূর্ণ হওয়ার কথা। সেখানে 01/01/19 গিয়ে দেওয়া হয়েছে। "
এদিকে পুজোর ছুটির আগে হঠাৎ হাইকোর্টে হাজির অর্থকর্তা যা নিয়ে চলছে এখন জোর জল্পনা। এমনিতেই আদালতে আটকে রয়েছে সরকারি কর্মীদের ডিএ তাহলে কি পুজোর আগে সরকারী কর্মীরা লক্ষ্মীলাভ করবে, এমন জল্পনা চলছে।
দীর্ঘ ছয় ঘন্টা ঐ আধিকারিক হাইকোর্টে ছিলেন ফলে সরকারী কর্মীদের মনে কৌতুহল তুঙ্গে। যদিও, এত সময় কি করেছেন, কোনো বৈঠক করেছেন কি না তা নিয়ে কোনো কিছুই জানা যায়নি।
সকাল ১০টা ২৫ থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অর্থ দপ্তরের ওই কর্তা ছিলেন হাইকোর্টে। জানা যায় সাধারন এজি অর্থাৎ অ্যাডভোকেট জেনারেলের সাথে সরকারি বিষয়ে আইনি পরামর্শের জন্য কর্তারা আদালতে আসেন কিন্তু শনিবার ছুটির দিন আসেননি এজিও। তবে এত সময় কোন বৈঠকের জন্য আদালতে অর্থ দপ্তরের ওই আধিকারিক। অর্থ দপ্তরের অন্যান্য কর্তারাও এবিষয়ে কোনো কিছু জানায়নি।
তবে সরকারী কর্মীরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই হয়তো পুজোর আগেই ডিএ মামলায় জয় পেয়ে প্রাপ্য ডিএ পাবেন তাঁরা।
এদিকে আর বাকি ৮-১০ দিন তারপরেই রাজ্যে শুরু হচ্ছে পুজোর ছুটি। আর তার আগে রাজ্যের আবেদন করা রিভিউ পিটিশনের শুনানি আছে আদালতে। পাশাপাশি সরকারি কর্মী সংগঠনের দাখিল করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানিও আছে। সবে মিলে কি পুজোর আগে ডিএ পাবে কর্মীরা তা নিয়ে চলছে জল্পনা, বাড়ছে কৌতূহল।
আরও পড়ুনঃ UGC: শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক রদবদল ! Online বা Distance Degree নিয়ে বিরাট ঘোষণা
Eto deri korche kno court ray dite ... Tahole satty ki rohosso ache ?
উত্তরমুছুননিয়োগ হলে ভালোই হয়।
উত্তরমুছুনমিললে তো ভালই হবে
উত্তরমুছুনEsob kotha bad e dichi
উত্তরমুছুনসত্যি এবার কিন্তু দেওয়া উচিত
উত্তরমুছুনকর্মচারী দের DA দেওয়া হোক
উত্তরমুছুননেতা মন্ত্রী দের তো ঠিক মতো DA আর বেতন দেওয়া হচ্ছে
উত্তরমুছুনএদের টা বন্ধ করা উচিৎ
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব DA দেওয়া শুরু হোক
উত্তরমুছুনCourt taratari ray dik
উত্তরমুছুনচরম হতাশা
উত্তরমুছুনএবার না দিলে সত্যি খুব অপমান করা হবে ।
উত্তরমুছুনকতদিন এ যে এদের DA দিবে ।
Eder chokkor val lage na
উত্তরমুছুনDA kintu taratari dile valo hoto
উত্তরমুছুনএদের Da সমস্যার সমাধান হবে না।
উত্তরমুছুনNíyog hola vloi hoi
উত্তরমুছুনVloi hoi
উত্তরমুছুন