চোখের জলে শেষ বিদায় বীর সেনা জওয়ানকে

চোখের জলে শেষ বিদায় বীর সেনা জওয়ানকে

army



রঞ্জিত ঘোষ, বাঁকুড়া ঃ 

কর্মজীবন ত্যাগ করে একদিন সকলকেই অবসর নিতে হয়, ফিরতে হয় নিজ বাসায়। হ্যাঁ ঠিকই, বীর শহীদ রাজীব কুন্ডুর দেহটা ফিরল কফিন বন্দী নিথর অবস্থায়। এ যে তাঁর সরকারী খাতা-কলমে ঘোষিত অবসর নয়,কে জানত তাঁর অবসরটা চিরজীবনের হয়ে যাবে!

সূত্রের খবর বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির দেউলী গ্রামের যুবক রাজীব কুণ্ডু। তিনি ভারতীয় সেনা বাহিনীর উত্তরাখণ্ডে সিগন্যাল কোরে কর্মরত ছিলেন।গত শনিবার রাতে কর্মরত অবস্থায় আকস্মিক তাঁর বুকে ব্যাথা অনুভূত হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে সেনা বাহিনীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই বীর গতি প্রাপ্ত ঘটে রাজীব বাবুর। সেই খবর তাঁর গ্রামের বাড়ি গঙ্গাজলঘাটির দেউলির কুন্ডু পরিবারে পৌছতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে কুন্ডু পরিবারের,গ্রাম জুড়ে তখন শুধুই বিষাদের সুর। 

রবিবার সকাল নাগাদ বীর জাওয়ান রাজীব কুন্ডুর কফিনবন্দি নিথর দেহ আনা হয় অণ্ডাল বিমানবন্দরে এবং সন্ধ্যা নাগাদ সেখান থেকে আনা হয় তাঁর গ্রাম তথা গঙ্গাজলঘাটির দেউলি গ্রামে। 

শহীদের কফিন বন্দী নিথর দেহ গ্রামের মাটি স্পর্শ করতেই আকাশ বাতাস জুড়ে ওঠে হাজার হাজার জনতার কান্নার রোল।আর সকলের চোখের জলেই শেষ বিদায় জানানো হয় শহীদকে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শহীদ রাজীব কুন্ডুকে গার্ড অফ অনার ও গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।


তবে তাঁর স্ত্রী বীর শহীদ রাজীবের জন্য গর্ব বোধ করেন, তাঁর জন্য ভারত মাতার ধ্বনি দিলেন। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হন এলাকার বিশিষ্ট জনেরা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ