ইংল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে ইংরেজদেরই গুঁড়িয়ে দিল ভারতের মহিলা দল
কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) ভারতের মেয়েদের স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত। ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের মাটিতে দাঁড়িয়ে ইংরেজদেরই গুঁড়িয়ে দিল ভারতের মহিলা দল। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ভারতের মেয়েরা (Indian Women’s Cricket Team)।
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল কমনওয়েলথ গেমসের সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে চার রানে হারিয়েছে। এই জয়ে ফাইনালে উঠল টিম ইন্ডিয়া। ক্রিকেটে প্রথমবার পদক পাবে ভারত। পুরুষ দল শেষবার খালি হাতে ফিরেছিল 1998 সালে। প্রথমে ব্যাট করে মহিলা দল 20 ওভারে পাঁচ উইকেটে 164 রান করে। জবাবে ইংল্যান্ড দল ছয় উইকেটে মাত্র ১৬০ রান তুলতে পারে।
ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ীর মুখোমুখি হবে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছেন তারকা ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার। ধুমধাম করে ম্যাচ শুরু করেন তিনি। 23 বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ড দলকে চমকে দেন। সেই থেকে ম্যাচে ভারতের আধিপত্য আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি উত্তেজনাপূর্ণ হলেও ম্যাচ জিততে সফল হয় টিম ইন্ডিয়া।
ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। তার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয়। স্মৃতি মান্ধানা আক্রমণাত্মক শুরু করেন। তিনি শেফালি ভার্মার সমর্থন পেয়েছেন। দুজনে মিলে ৭.৫ ওভারে ৭৬ রানের জুটি গড়েন। এই সময়ে মান্ধানা তার হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। 17 বলে 15 রান করে আউট হন শেফালি। দুটি চার মারেন তিনি। ফ্রেয়া কেম্পের হাতে ক্যাথরিন ব্রান্টের হাতে ধরা পড়েন শেফালি।
শেফালি আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর পরের ওভারে মন্ধানাও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩২ বলে ৬১ রান করেন তিনি। এ সময় তিনি আটটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন। মন্ধনা 190.62 স্ট্রাইক রেটে রান করেন। বং-এর হাতে নাটালি স্ক্রাইভারের হাতে ধরা পড়েন তিনি। কমনওয়েলথ গেমসে মান্ধনার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর শুরুটা ভালো করেন। 20 বলে 20 রান করেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি বড় ইনিংস খেলবেন, কিন্তু 20 বলে 20 রান করে আউট হয়ে যান। 13.2 ওভারে টিম ইন্ডিয়ার স্কোর যখন 106 রান, তখন হরমনপ্রীত আউট হন। ফ্রেয়া কেম্পের বলে বাউচিয়ারের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
জেমিমা রদ্রিগেজ ও দীপ্তি শর্মা শেষ ওভারে ভালো ব্যাটিং করেছেন। চতুর্থ উইকেটে ৩৮ বলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন দুজনে। 20 বলে 22 রান করে আউট হন দীপ্তি। দুটি চার মারেন তিনি। গত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন জেমিমা। এবারও তিনি দলের জন্য সমস্যা সমাধানকারী প্রমাণিত হয়েছেন। তিনি 31 বলে অপরাজিত 44 রান করেন। জেমিমার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার। তার স্ট্রাইক রেট ছিল 141.94। শূন্য রানে আউট হন পূজা ভাস্ত্রকার। খাতা খোলার সুযোগ পাননি স্নেহ রানা। বল না খেলেই অপরাজিত থাকেন তিনি।
ভারতের হয়ে এই ম্যাচে সেরা বোলার ছিলেন স্নেহ রানা। চার ওভারে ২৮ রানে নেন দুই উইকেট। দীপ্তি শর্মা চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে ব্রেকথ্রু নেন। ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যান রান আউট হন। তার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক নাটালি স্ক্রাইভার। ড্যানিয়েল ইয়াট ৩৫ এবং অ্যামি জোন্স ৩১ রান করতে সক্ষম হন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৪ রান। স্নেহ রানা মাত্র নয় রান দেন।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊