বঞ্চনার ৫০০ দিন, মুক্তির অপেক্ষায় ২০১৬ সালের নবম - দশম এবং একাদশ - দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত বঞ্চিত চাকরীপ্রার্থী
কলকাতার বুকে ২০১৬ সালের নবম - দশম এবং একাদশ - দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরিতে নিয়োগপত্র না পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীগণ শান্তিপূর্ণ ভাবে যে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন আজ তার ৫০০ তম দিন পূর্ণ হয়েছে।
ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের মুখ থেকে শোনা গেল "আমরা ৫০০ দিনের জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাই।"
বিশিষ্ট সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার সিংহ জানিয়েছেন যে "ধর্ণারত চাকরি প্রার্থীদের বুকভরা যন্ত্রণার কথা সরাসরি নিজে চোখে দেখেও বাক্যে প্রকাশ করা খুবই কঠিন। প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যে নীল রঙের পাতলা ট্রিপল ধরে দাঁড়িয়ে চাকরি প্রার্থীগণ তাদের ন্যায্য চাকরি ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।বেশ কয়েকজন মহিলা চাকরি প্রার্থী তাদের ছোট্ট শিশুকে বুকে ধরে নীরবে দাঁড়িয়ে আছেন। আবার কয়েকজন পুরুষ চাকরি প্রার্থী ট্রিপল ধরে অন্যদের বৃষ্টির ভেজা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই দুঃখের কথা না দেখলে সহজে বোঝা যাবে না।"
সমাজসেবক অশ্বিনী কুমার সিংহ জানিয়েছেন যে "৫০০ দিন ধরে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীগণ কলকাতার বুকে ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উক্ত চাকরি প্রার্থীগণ মেধাতালিকা ভুক্ত হয়েও চাকরিতে নিয়োগপত্র পাননি।তাই তাদের অতি দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করা হোক।" এবিষয়ে তিনি রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়ে এবং বঞ্চিত শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অতি দ্রুত নিয়োগের জন্য আবেদন রেখেছেন।
কলকাতার কংগ্রেস নেতা আশুতোষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে "৫০০ দিন হয়ে গেল আর কত দিন যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের অসহায় হয়ে ধর্ণায় বসে থাকতে হবে? এদের আগে অবিলম্বে নিয়োগ করা হোক।"
দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব কার্তিক পাল জানিয়েছেন যে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ৫০০ দিন ধরে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীগণ ধর্ণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের কথা মানবিকতার সাথে ভাবা হোক। সকল মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরিতে নিয়োগপত্র না পাওয়া হবু শিক্ষক-শিক্ষিকা পদপ্রার্থীদের অতি দ্রুত চাকরিতে নিয়োগ করা হোক।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊