MAKAUT Online Exam Assessment Received International award from London


MAKAUT



Online Exam নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ির একটি কলেজে অনলাইন পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গণটোকাটুকির অভিযোগ ওঠে। শুধু জলপাইগুড়ি নয়, করোনাকালে অনলাইন পরীক্ষার যে চল শুরু হয় তা নিয়ে সমগ্র দেশ জুড়েই সমালোচনা শুরু হয়। তবে এবার তার সমাপ্তি হতে চলেছে। এখন থেকে অনলাইন পরীক্ষাতেই স্বচ্ছতা আসতে চলেছে। আর বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানা যাচ্ছে।




সম্প্রতি রাজ্যের মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এমন উপায় আবিষ্কার করেছে যে অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েও টোকাটুকি সম্ভব নয়। এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারে সেই উদ্ভাবন ম্যাকাউটকে এনে দিল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।




এমনকি চলতি বছরের ই-অ্যাসেসমেন্ট পুরস্কার আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে ম্যাকাউট। সংবাদে প্রকাশ ভারত-সহ পৃথিবীর নানা দেশ থেকে যাওয়া ৪৫টি মনোনয়নের তালিকা থেকে চূড়ান্ত তিনটি মনোনয়নকে বেছে নেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে সেরার পুরস্কার জিতে নেয় রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। লন্ডনে ২১ জুন ফল ঘোষিত হয়।


“Best Somatic Assessment Project Award 2022’ পাওয়ার পর ম্যাকাউটের উপাচার্য অধ্যাপক সৈকত মৈত্র জানিয়েছেন “আমরা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ব্যবহার করে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছি। বাড়িতে বসে অনলাইনে পরীক্ষা দিলেও কোনও ছাত্রছাত্রী অসৎ উপায় অবলম্বন করতে পারেনি। সেই কারণেই এই পুরস্কার। আমরা গর্বিত। পাশাপাশি আরও বেশি করে প্রযুক্তিনির্ভর পরীক্ষা ব্যবস্থা রূপায়ণের অঙ্গীকার করছি। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও উৎসাহ দেবে।”


উল্লেখ্য, চলতি বছরে ১ লক্ষ ৬০ হাজার স্নাতক পড়ুয়া ম্যাকাউট থেকে অনলাইনে ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। এই পরীক্ষা ব্যবস্থায় এআই ব্যবহার করে কাউকে টুকলি করতে দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শুভাশিস দত্ত বলেন, "মাত্র ছয় মাসের মধ্যে আমরা এই পদ্ধতিটি তৈরি করেছি এবং এটি বাস্তবায়ন শুরু করেছি।"


তিনি আরও জানান- "দুই বছর ধরে একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা চলছে। শিক্ষার্থীরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেজন্য বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রশ্নপত্রও তৈরি করা হয়। অনেক সময় শিক্ষকের দেওয়া নম্বর ভিন্ন হয়। আমাদের প্রশ্নে সেটা সম্ভব নয়। MCQ প্রশ্ন আছে, তবে সেগুলোর উত্তর পাওয়া কঠিন, এটা বের করার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।"