Jalpesh Shravani Mela
![]() |
জল্পেশ মন্দির |
মধুসূদন রায়, ময়নাগুড়িঃ উত্তরপূর্ব ভারতের শৈব তীর্থগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ময়নাগুড়ির বাবা জল্পেশ ধাম (Jalpesh Shravani Mela) । প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে জল্পেশ মন্দিরে ভক্তরা আসেন বাবা শিবের মাথায় জল ঢালতে (Jalpesh Shravani Mela)। ফলে এক মাস ধরে চলতে থাকা শ্রাবণী মেলায় ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে । শ্রাবণ মাসের প্রত্যেক রবিবার রাতে ভক্তরা জল্পেশে আসেন । রাত জেগে সোমবার শিবের মাথায় জল ঢেলে ভক্তরা বাড়ি ফিরে যান ।
উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ প্রতিবছর রাজ্যের বাইরের প্রচুর পূর্নার্থীর সমাগম হয় জল্পেশ মন্দিরে । এমনকি পাশ্ববর্তী দেশ নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশের লক্ষাধিক ভক্ত জল্পেশ মন্দিরে আসেন পুজো দিতে । ফলে গোটা শ্রাবণ মাস 'বোল-বোম' ধ্বনিতে ভরে যায় জল্পেশ (Jalpesh Shravani Mela) সহ সংলগ্ন এলাকা । প্রতি বছর প্রচুর সংখ্যক পূর্নার্থী তিস্তা নদীতে পূর্ণস্নান সেরে সেখান থেকে জল নিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মন্দিরে আসেন । অপরদিকে মেলার আগেই পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় বিভিন্ন দোকানদারদের । নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ প্রশাসন এবং 'সিসিটিভি'র সাহায্যে নজরদারি চালানো হয় ।
উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের শিবতীর্থ জল্পেশ ধাম (Jalpesh Shravani Mela) । প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে মেলা বসে জল্পেশ মন্দির চত্বর সহ মেলার মাঠে । আগামী ১৭ জুলাই রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের জল্পেশের শ্রাবণী মেলা । যা চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত । এবছরের শ্রাবণী মেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি তুঙ্গে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে ।
এবিষয়ে মন্দির কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, ‘প্রত্যেক বছর আমাদের শ্রাবণী মেলা (Jalpesh Shravani Mela) গুরুপূর্ণিমার দিন থেকে শুরু হয় এবং রাখি পূর্ণিমায় শেষ হয় । এবছর ১৭ জুলাই রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে শ্রাবণী মেলা । যা চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ।
সামনেই মেলা, তাই মেলাকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে । পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সহ পুণ্যার্থীরা কোথায় থাকবেন সে বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে । সিকিউরিটির দিকটি কিভাবে পরিচালনা করা হবে সে বিষয়েও দেখা হচ্ছে । আমরা আশা করি এই বছর সবচেয়ে বড় মেলা হবে । দুই বছর পুন্যার্থীরা করোনার জন্য আসতে পারেনি এবছর প্রচুর সংখ্যক পুন্যার্থীরা আসবেন । সে কারণেই আমাদের ভলেন্টিয়ার্স এর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে ।
এবছর মেলায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রায় ১০০ জন ভলেন্টিয়ার্স নিয়োগ করা হবে । সাথে নিরাপত্তার দিকটি ক্ষতিয়ে দেখবেন জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ প্রশাসন । পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এবছর মন্দির প্রবেশের টিকিট থাকছে ২০ টাকা এবং স্পেশাল টিকিট ১০০ টাকা ।’
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊