Bengal News Today : অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির পরিমাণ দেখে হুঁশ উড়ছে আমজনতার

অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আয় বহির্ভূত সম্পত্তির পরিমাণ দেখে হুঁশ উড়ছে আমজনতার

some people with musk and mobile
অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনে



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-


গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল গত ১০ জুন। আর আট দিনের সিবিআই হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার আবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। এদিন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর কাছে সায়গলকে আরো সাতদিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিলো সিবিআই।






স্বাভাবিক ভাবেই নানা যুক্তি ও সাতদিনে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কিছু না পাওয়ার কথা বলে সায়গলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করে, তার জামিনের আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী অনির্বান গুহ ঠাকুরতা। কিন্তু দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শেষে দু’পক্ষের কথা শুনে বিচারক তার জামিন নাকচ করে, আরো সাতদিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন আগামী ২৪ জুন হবে বলে বিচারক নির্দেশ দেন বলে পরে জানান সায়গলের আইনজীবী।






কলকাতা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকরা এদিন সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে রওনা দিয়ে আসানসোল সিবিআই আদালতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ নিয়ে আসেন অনুব্রতর দেহরক্ষীকে।





গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয়েছিল গত ১০ জুন। সেদিন বিকেলে এই মামলার দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল-জবাব শেষে সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তার জামিন নাকচ করে আট দিনের সিবিআই হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন।






সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার এদিন সওয়াল করে বলেন, সায়গলের কাছে গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। সিবিআই তাকে একাধিকবার নিজামের প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সায়গলের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এছাড়াও আয় বহির্ভূত বহু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে সায়গেলের কাছ থেকে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার নিউটাউন সহ একাধিক জায়গায় একাধিক ফ্ল্যাট ও বাড়ি , বীরভূমে পেট্রল পাম্প, নগদ টাকা, সোনা ও গাড়ি। আদালতে পেশ করে সেহগালের বিষয়সম্পত্তির ‘সিজার লিস্ট’ জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, এর বাইরেও ওই কনস্টেবলের আরও সম্পত্তি থাকতে পারে।




সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার বিচারককে জানান, তালিকায় একাধিক ডাম্পার, একাধিক ফ্ল্যাট, একাধিক পাথর ভাঙার যন্ত্র, পেট্রল পাম্প, প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতের ওই দেহরক্ষীর।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ