প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে ক্যাটারিং এর ছেলেদের সাথে বচসা, নিহত ১ আহত ২ 

গ্রামবাসী


রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-



জামুড়িয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক যুবক। জখম ঐ পরিবারেরই আরো দুজন । ঘটনাটি ঘটে জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত বাগডিহা গ্রামে । পরিবারের অভিযোগ ক্যাটারার ছেলেরদের মারেই প্রাণ হারান রবি চৌধুরি নামে বছর ২৯ এর যুবক।




পরিবার সূত্রে জানা গেছে বর্ধমান থেকে পিসির বাড়িতে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সপরিবার এসেছিলেন রবি চৌধুরি। অভিযোগ শুক্রবার রাতে পরিবারের সদস্যরা সবার শেষে খেতে বসলে খাবার দিতে অস্বীকার করে ক্যাটারারের ছেলেরা। এই নিয়েই বচসার সৃষ্টি হয়। কোনোক্রমেই তা হাতাহাতিতে পরিনত হয় । সংঘর্ষ থামাতে যান রবি চৌধুরী । তাকেও মারধর করে ক্যাটারারের ছেলেরা বলে অভিযোগ ।




রবি ছাড়াও পরিবারের আরো দুজন জখম হয় । তিনজনকেই রাতে বাহাদুরপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেয়। অন্যদিকে শনিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করে রবি চৌধুরী । সঙ্গে সঙ্গে তাকে আবার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে । মৃত রবির চৌধুরীর পিঠে গভীর ক্ষত রয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুড়িয়া থানার পুলিশ।




অন্যদিকে আশা ঘোষ জানান, এটা আমার ভাই হয় প্রথমে ক্যাটারিংয়ের ছেলেদের সাথে একবার ঝামেলা হয় সেটা মিটে যায় তারপরে ওই ছেলেরা ঘরের ভেতর লাঠি নিয়ে ঢুকে মারধর করে মেয়ে ছেলেরা আটকাতে গেলে তাদের জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয়। এখানে পড়ার লোক একটাও কিছু বলেনি। ক্যাটারিং এর কাজ করতে এসেছে ওরা তো ন্যায্য পয়সা নেবে কিন্তু মারবে বা কেন মারার অধিকার এদেরকে কে দিয়েছে।




রাজু চৌধুরী জানান,নিমন্তন্ন বাড়িতে এসেছিল পৃথিবীর অনুষ্ঠানে ক্যাটারিং এর ছেলেরা বলে আমাদের কাজ শেষ হয়ে গেছে আমরা চলে যাব। আমরা পাতা দিতে পারবো না। এই নিয়ে সূত্রপাত এর জন্য হাতাহাতি-মারামারি ৮-১০ জন ছেলে ওরা ছিল একে ছাড়াতে গেলে ওর সাথে লেগে যাচ্ছে মারামারি। বুকে ব্যথার কারণ মৃত্যু হতে পারে বলে অনুমান।




পাশাপাশি প্রীতি চৌধুরী জানান, অনেকগুলো দাদারা দেখেছে যে এদেরকে মারছে মেইন কারণ হচ্ছে যে ক্যাটারিং এর ছেলেরা বলছে ভাত নেই পাতা নেই আমরা খাবার দিতে পারব না। কিন্তু ভাত ও পাতা দুটোই ছিল এই নিয়ে সূত্রপাত এটাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মেরেছে। তারপর এই যে দাদা মারা গেছেন সেই দাদা কে আমরা দেখিনি তবে শুনেছিলাম ও হসপিটাল গেছিল হসপিটাল থেকে বাড়ি যখন ফিরে রাত্রে বেলায় উনি ঘুমিয়েছে কিন্তু সকাল বেলায় উঠে বৌদি কান্নাকাটি করছে। যে কথা বলছে না যখন উনাকে মাথাটা কলে নেয়া হয় তখন দেখা যায় বালিশটা ব্লাডে ভিজে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাহাদুরপুর হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইখান থেকে ওরা রেফার করে আসানসোল হসপিটালে। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরে উনি মারা যান।