Cyclone Ashani: আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি, কতটা প্রভাব পড়বে বাংলায়? 

Cyclone Ashani




আজ সকালেই বঙ্গোপসাগরে (BaY of Bengal) তৈরি গভীর নিম্নচাপ (depression) পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone)। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে কমছে ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড় অশনি সমুদ্রেই গতিপথ বদলানোয় ক্রমশ শক্তিক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা।



আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এখনও পর্যন্ত যা সম্ভাবনা তাতে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhrapradesh), দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটারে মতো।



বাংলায় সরাসরি সাইক্লোন অশনির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কম। ঝড়ের তেমন সম্ভাবনা না থাকলেও রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির (Rainfall) পরিমাণ বাড়তে পারে।



আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটির গতি ৮ মে সর্বোচ্চ ৬০-৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হতে পারে । তবে তা বেড়ে ১১০ কিলোমিটারও হতে পারে। আগামী ৯ মে ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে হতে পারে ১০৫-১১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। বিশেষ সতরেকতা জারি করা হয়েছে ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য।


ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও চলছে সতর্কতা প্রচার। মঙ্গলবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল ও খাবারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রতিটি ব্লকে সাবধানতা, কুইক রেসপন্স টিম। বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চলছে। দুর্যোগ মোকাবিলার আয়োজন চলছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদেরকে সচেতন করা হচ্ছে। নদী তীরবর্তী এলাকার স্কুল ও ফ্লাড সেন্টারগুলোকে (Flood Centre) খুলে রাখা হয়েছে।