Pakistan Political Crisis: আস্থাভোটে হারলেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অপসারিত হলেন ইমরান

Imran Khan




মধ‍্যরাতে নাটকীয় পরিস্থিতিতে গোটা পাকিস্তান জুড়ে জারি হল লাল সতর্কতা। মধ‍্যরাতেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে শুনানি, হাজির হন প্রধান বিচারপতিও। সুপ্রিমকোর্টের বাইরে মোতায়েন হয় পাক সেনাও। শেষ পাওয়া খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন। আস্থাভোটের ঠিক আগে স্পিকার-ডেপুটি স্পিকারের ইস্তফার জেরে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন পরিস্থিতি।গোটা পাকিস্তান জুড়ে জারি লাল সতর্কতা। 





মধ্যরাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan Prime Minister) পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান (Imran Khan)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টাতেই ইমরানের বিরুদ্ধে আস্থাভোট (Trust Vote) হওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রথমে ভোটাভুটির সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে চলে চাপানউতর। শেষমেশ রাত ১১টা বেজে ৫৮ মিনিটে শুরু হয় ভোটাভুটি। তাতে ৩৪২ আসনের পাকিস্তান অ্যাসেম্বলিতে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে ১৭৪ জন ভোট দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে ইমরানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী আস্থাভোটে হেরে সরতে হল যাঁকে। আবার পূর্বসূরি সকলের মতোই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ হল না তাঁরও।




২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ইমরান। বেশ কয়েক মাস ধরে ইমরানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিচ্ছিল। ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসন তো বটেই, সরকারি কোষাগারের টাকা অপ্রয়োজনে খরচের অভিযোগ ওঠে। ধীরে ধীরে ক্ষোভ জমা হতে হতে তা গণ আন্দোলনে পরিণত হয়। ফলশ্রুতি হিসেবে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধএ অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শনিবার শেষমেশ ভোটাভুটি সম্পন্ন হল। সরলেন ইমরান খান।



এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেই অনুযায়ী, পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন শেহবাজ শরিফ। ইমরানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গোড়া থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন তিনি।