উপনির্বাচনে  পরাজয়ের পর বিজেপি কার্যালয়ে ধুন্ধুমার কান্ড

বিজেপি কার্যালয়




রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-


আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে পর্যালোচনা করার জন্য রবিবার একটি বৈঠক বসেছিল জাতীয় সড়কের পাশে থাকা বিজেপির জেলা কার্যালয়ে। আর রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল বিজেপি কার্যালয়ে বৈঠক চলাকালীন ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায়, বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়, আর ধুন্ধুমার ভিডিও হয় ভাইরাল।




রবিবার বিজেপি কার্যালয়ের লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে লজ্জাজনক পরাজয়ের পর বিজেপি কর্মীরা উত্তেজিত। সূত্র মারফত খবর গতকাল সন্ধ্যায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে নেতাদের বৈঠক হয়। আর ওই সময় ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে, কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বৈঠকের ভিডিও ভাইরাল হয়।বৈঠকে দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিযোগ যে জেলা নেতৃত্বের দুর্নীতির কারণে লজ্জাজনক হার হয় বিজেপির। কর্মীদের দাবি যারা রাতদিন নির্বাচনের জন্য প্ররিশ্রম করেছে সেইসব দলের কর্মীরা তাদের প্রাপ্য টাকা পায়নি। সেই টাকা দলের নেতৃত্ব নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি জেলা সভাপতি সহ দলের নেতৃত্বর বদলের দাবিও তোলেন কর্মী সমর্থকরা। নতুন করে নির্বাচন করে যোগ্য ব্যক্তিদের দলের দায়িত্বে দেবার দাবি তোলেন কর্মীসমর্থকরা।




এদিনের বৈঠকে বিজেপি নেতাদের হট্টগোল করতে দেখা যাচ্ছে, একটি ভিডিওতে টাকা লেনদেনের সময়ও অপব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এই বৈঠকে বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে, বিজেপি নেতা শঙ্কর চৌধুরী, শিবরাম বর্মণ, বিবেকানন্দ ভট্টাচার্য ,প্রমোদ বিশ্বকর্মা ,চিন্টু শর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতারা হাতাহাতি করার কথা অস্বীকার করে ওই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।




বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দিলীপ দে জানায় যে এই ঘটনাটা সামান্য হই-হট্টগোল হয়েছে। কর্মীদের কিছু মান অভিমান ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল। সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, সে দাবি তারা রাখে। বুথ ভিত্তিক যে টাকা দেওয়ার ব্যাপার ছিল সারাদিন ব্যাপী যারা কাজ করেছে তাদের খাওয়া দাওয়া বাবদ সেই টাকা সবাই পায়নি। কেউ কম পেয়েছে, কারন হিসেবের ব্যাপার আছে। ভুল বোঝাবুঝি সহ বিভিন্ন ধরনের আবদার ও দাবি নিয়ে একটু হইহট্টগোল হয়েছে নিজেদের মধ্যে।

তিনি আরও বলেন জেলা সভাপতিদের ডাকা কোন মিটিং ছিল না আমাদের অফিসে কিছু কার্যকর্তা এসেছিল অভিযোগ জানাতে বিজেপির এরকম হার কেন হল। কার্যকর্তাদের একটা ক্ষোভ থেকেই যায়। সেই ব্যাপার নিয়ে আমাদের অনুসন্ধান চলছে এবং পরে ওটা জানানো হবে বলে জানানো হয়, আর পোলিং বুথে খরচের নিয়ে যে উত্তেজনা ছড়ায়। আমাদের আসানসোল উত্তরের সেখানে বুথ খরচ পৌঁছাতে দেরি হয়। এটা কাল রাতের মধ্যে ওটা সর্ট আউট হয়ে গেছে। পান্ডবেশ্বর ব্যাপার নিয়ে জানতে চাইছে সেটা আমার থেকে জিতেন দার কাছে জানলেই ভাল হয়, কেন জিতেন দার মেয়ের অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার কারণে হয়তো তিনি বেশি সময় দিতে পারেননি।




বিজেপির ওবিসি সেলের নেতা শঙ্কর চৌধুরি বলেন,বিরাট ব্যবধানে উপনির্বাচন হারার পর আমাদের কর্মীদের মধ্যে একটা মনোবল ভেঙে যায় এবং সেই মনোবল ভেঙে যাওয়ার কারণে কর্মীরা জানতে চাই যে আমরা এত খাটলাম তা সত্যে হারলাম কেন এবং কিছু কিছু বুথের যে খরচ বাবদ দেওয়া হয় সেগুলো কিছু বুঝতে পারিনি কোথাও বেশি গেছে কোথাও কম গেছে সেই নিয়েই ঝামেলা তো আমরা বলেছি এর স্কুটনি করা হচ্ছে রিপোর্ট সবার সামনে তুলে ধরা হবে।




তৃণমূল কংগ্রেসের আই এন টি টি ইউ সির জেলা সভাপতি বলেন বিজেপি যেভাবে উপ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে আমার মনে হয় বিজেপির যারা কর্মী রয়েছেন তারা মন থেকে ভেঙে পড়েছে হতাশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তার কারণেই কালকের এই ঝামেলা। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি যে বিজেপি পার্টির ঝান্ডা লাগানো ব্যানার লাগানো নিজস্ব কোনো কর্মী নেই ওরা এজেন্সির মাধ্যমে সমস্ত কিছু কাজ করছে।