Rampurhat : রামপুরহাট গণহত্যার অন্যতম সাক্ষী নাবালক কিয়াং শেখ হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ


ফায়ার ব্রিগেড
স্যোসাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত 


নিউজ ডেস্কঃ
তৃণমূল উপ প্রধান খুনের পর উত্তপ্ত রামপুরহাট (Rampurhat)। গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে- ১০ জনের দেহ পাওয়া গেছে। অগ্নিকাণ্ডে মারা গিয়েছে ৮ জন। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য় পুলিশের ডিজিপি মনোজ মালব্য। মৃত্যুর পিছনে রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন ডিজি।



এদিকে মুখ্যসচিবের কাছে তথ্য তলব করেছে রাজ্যপাল। রাজ্যপাল এই নিয়ে বলেন, রামপুরহাটে যা হল, তা অনভিপ্রেত। এই ধরণের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। রামপুরহাটে যে ধরণের হিংসা হয়েছে, তাতে তিনি বিচলিত বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিয়ো শেয়ার করে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন ধনখড়।


অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছে টিভি ফেটে এই দুর্ঘটনা। শাসকদলের পক্ষ থেকেও উপপ্রধান খুনের সাথে এই ঘটনার কোন যোগাযোগ নেই বলে দাবী করা হচ্ছে।


এবিপি আনন্দ সূত্রে জানা গিয়েছে- "অগ্নিকাণ্ডে জখম নাজিমা বিবি জানিয়েছেন, আমরা ১০ ছিলাম। ২টো বাচ্চা ছিল। ৫-৬টা মেয়ে, ১-২টো বড় মেয়ে ছিল, দরজা আমরাই বন্ধ করেছিলাম, গ্রিলে তালা দিয়েছিলাম, বোম ফেলেছে। আগুন মারবে তা জানি না গো, না হলে পালাতাম।


অগ্নিকাণ্ডে জখম নাজিমা বিবির কথায়, 'আমরা ঘরের ভিতরে ছিলাম, মধ্যে খানে দোকান আছে। বাইরে ছিলাম, বোম পরে দেখে, দোকানে ঢুকে গেলাম, শাটার আছে, বোমের ছিটা লাগবে না বলে, ঘর জ্বালিয়ে দিল, পেট্রোল ছিটিয়ে। কাপড় ছিল, পেট্রোল দিয়ে, আগুন দিয়ে দিল। হু হু করে জ্বলতে একেবারে দোকান-সব পুড়ে গেল।"



এদিকে মঙ্গলবার সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন বঙ্গ বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-‌সহ দিলীপ ঘোষ, লকেট চ্যাটার্জি, অর্জুন সিংহ, রাজু বিস্তরা। সেখান থেকে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‌অমিত শাহ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তারপর যুগ্মসচিব স্তরের আধিকারিকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় দল বাংলায় যাবে। যে ঘটনা ঘটেছে তা মানবতার লজ্জা। বাংলায় (west bengal)  এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।’‌‌


শেষ পাওয়া খবরে জানাযাচ্ছে রামপুরহাট গণহত্যার অন্যতম সাক্ষী নাবালক কিয়াং শেখ হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ । মঙ্গলবার বিকেলে রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় কিয়াং শেখ নামে ১৪ বছরের ওই কিশোর। ঘটনার কথা জানিয়ে রামপুরহাট থানায় মিসিং ডায়েরি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।