দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে ভুয়া খবরে কঠোর নীতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে Google, Facebook and Twitter
ভুয়ো খবরে গাফিলতি নিয়ে আমেরিকার বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থা যেমন গুগল, ফেসবুক এবং টুইটারের প্রতি (Google, Facebook and Twitter) আবারও কড়া পরামর্শ দিয়েছে সরকার। সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক এক বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তারা এসব কোম্পানিকে ভুয়া খবরের ব্যাপারে কঠোর নীতি অবলম্বনের পরামর্শ দেন। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না করার জন্যও তিনি তাদের দৃঢ়ভাবে নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা এ বৈঠক করেন। এতে বৃহৎ কোম্পানিগুলোকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তারা ভুয়া খবরের বিস্তার রোধ না করার কারণে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার যখন প্ল্যাটফর্ম থেকে এই জাতীয় নকল সামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেয়, তখন একটি বিতর্ক হয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয় এবং সরকারের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করার অভিযোগ আনা হয়। অথচ বিভিন্ন ফোরামে ভুয়া খবর দিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চলছে।
কর্মকর্তারা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য কোম্পানিগুলোর নিজেদের নীতিমালা উন্নত করা এবং ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করা প্রয়োজন। সূত্র জানায়, বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তাদের কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়।
সূত্রের মতে, আমেরিকান জায়ান্ট Google, Facebook and Twitter এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রশাসনের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতি রয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা কোনো আল্টিমেটাম দেননি। তবে এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে কোম্পানিগুলোকে ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারও এ বিষয়ে কঠোর নিয়ন্ত্রক তৈরি করছে। সংস্থাগুলিকে তাদের প্ল্যাটফর্মগুলিতে যে সকল বিষয় পোস্ট করা হয় তার উপর নজরদারি বাড়াতে হবে।
সরকার ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ৫৫টি ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছিল। পাকিস্তানের এসব চ্যানেল ও অ্যাকাউন্টে ভুয়া খবরের মাধ্যমে দেশবিরোধী উপাদান ছড়ানো হচ্ছে।
বৈঠক প্রসঙ্গে গুগলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভুয়া খবর ঠেকাতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তারা। ভবিষ্যতে নজরদারি বাড়ানো হবে। তিনি সরকারকে ভুয়ো খবর সম্পর্কে তার ক্রিয়াকলাপ প্রকাশের পরিবর্তে Google এর সাথে সরাসরি বিষয়টি ভাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ফেসবুক ও টুইটার বৈঠকের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।
বৈঠকে দেশীয় কোম্পানি শেয়ার চ্যাট ও কু-এর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তারা দুজনই দেশের আইনের আওতার মধ্যে কাজ করেন বলে দাবি করেন। ভুয়া খবর এবং দেশবিরোধী বিষয়বস্তু কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊