রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: আসানসোল:-

মনোনয়ন পত্র জমা না দিয়ে দলবদল করে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন বিজেপি প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায়।

সোমবার শেষ দিন মনোনয়ন পত্র জমা না দিয়ে দলবদল করে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে মঙ্গলবার জেলা বিজেপি নেতৃত্বর দাবি, পিন্টু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে বলে বলা হচ্ছে, তিনি তাদের দলের প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায় নন। তবে বিজেপির দাবি করা দলের প্রার্থী পিন্টু কোথায় গেল। তাকে অবশ্য এদিন সামনে আনতে পারেননি বিজেপি নেতৃত্ব। গোটা ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। চাপানউতর শুরু হয়েছে আসানসোলের রাজনৈতিক মহলে।

সোমবার মনোনয়ন জমার শেষদিনে সমস্ত প্রার্থী যখন ব্যস্ত ঠিক তখনই মনোনয়ন কেন্দ্রে না গিয়ে ২৫ নং ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায় খুবই গোপনে পৌঁছে যান আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে। ততক্ষণে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় পেরিয়ে গেছে। বিকেলের পরে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা এবারের নির্বাচনে ২৩ নং ওয়ার্ডের তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সি কে রেশমার সঙ্গে মন্ত্রীর বাড়ি পৌঁছান তিনি। সেখানেই পিন্টুর হাতে তৃনমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। দলবদল করেই পিন্টু জানান, কোন চাপ নয়। উন্নয়ন দেখেই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃনমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।

এই প্রসঙ্গে পরে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, এভাবেই বিজেপি ছেড়ে তৃনমূলে যোগ দিতে চাইছেন অনেকেই। এবারের আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচনে বিজেপি চতুর্থ স্থানে থাকে কিনা সন্দেহ। উল্লেখ্য মনোনয়ন জমার শেষ দিনে দেখা যায় ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী দিতে পেরেছে ১০২ টি ওয়ার্ডে। যার মধ্যে এই ২৫ নং ওয়ার্ড ছিলো।

এই দলবদল প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি দিলীপ দের দাবি, যে পিন্টুকে বিজেপির প্রার্থী বলে দেখানো হচ্ছে এই পিন্টু তাদের প্রার্থী পিন্টু নন। ইনি অন্য কেউ। তবে বিজেপির প্রার্থী পিন্টু মুখোপাধ্যায় কোথায় গেলেন।  মনোনয়ন পত্র শেষ মূহূর্তে জমা পড়ল না কেন। সোমবার বিকেলে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হওয়ার পরে বিজেপির জেলা সভাপতি দিলীপ দে ও আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি দাবি করে বলেছিলেন, ৯৯ শতাংশ সংখ্যালঘু এলাকায় প্রস্তাবক না পাওয়ায় ২৫ নং ওয়ার্ডে দলের তরফে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে দলবদল করা পিন্টু মুখোপাধ্যায়ের দাবি,, আমিই বিজেপির প্রার্থী সেই পিন্টু মুখোপাধ্যায়। বিজেপি জেলা নেতৃত্ব এখন বিপাকে পড়ে মিথ্যা কথা বলছে। এদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক এদিন এই প্রসঙ্গে বলেন, এরপর দেখা যাবে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব দলের নেতাকেই চিনতে পারছেন না। এটাই হয়।