দিশা যৌন পল্লীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে মারধর করে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ, চাঞ্চল্য এলাকায়

দিশা যৌন পল্লী



রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী: কুলটি:-

পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত লছিপুর দিশা যৌনপল্লী এলাকাই ভিনরাজ্য থেকে কয়েকজন যুবক এসেছিলেন এবং সেখানে ঐ যৌনপল্লির কিছু দোকানদার ও দালাল মিলে ঐ যুবকদের মারধর করে ও তাঁদের যৌনপল্লি এলাকায় ঐ যুবকদের কাছ থেকে খরচের বিলবাবদ ডিজিটাল লেনদেনর মধ্য দিয়ে মোটা টাকা নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

মোট প্রায় চার লক্ষ কুঁড়ি হাজার টাকা ডিজিটেল লেনদেনের মধ্য দিয়ে দোকানদার নিজের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করার অভিযোগ উঠে আসে। আর তার পরেই ঐ যুবকরা কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশের দ্বারস্থ হন ও ঘটনার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পাওয়া মাত্রই নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ তদন্ত শুরু করেন এবং ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে এবং আজ ঐ ধৃত তিনজনকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়।

এই বিষয়ে যৌন কর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে 'এই ভাবে গ্রাহকদের মারধর করে টাকা বেশি নিলে গ্রাহক আসা বন্ধ হয়ে যাবে ফলে সমস্যা হবে যৌনকর্মীদের। তাই এই সব ধরনের মারধর টাকা বেশি নেওয়ার মতো ঘটনা বন্ধ করা হোক। কারণ এখানে ঝাড়খন্ড বিহার সহ ভিনরাজ্য থেকে গ্রাহক আসে। আর এমনি ঘটনা ঘটলে দিশার বদনাম হবে ফলে গ্রাহকদের আসা বন্ধ হলে অসুবিধার সম্মুখীন হবে যৌনকর্মীরা।'