শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
আজ বেলা ১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যান ও সেখানে পূজার্চনায় অংশ নেন। এরপর তিনি প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধাম প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন করবেন।
বাবা বিশ্বনাথ মন্দির দর্শনে আসা পুণ্যার্থী ও তীর্থযাত্রীদের যাতে ভীড়ে ঠাসা সড়ক দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরেই এই পরিকল্পনা ছিল যে, এখানে আসা পুণ্যার্থী ও তীর্থযাত্রীরা পবিত্র গঙ্গা নদীতে শতাব্দী প্রাচীন পুণ্যাস্নানের রীতি যাতে সহজেই পালন করতে পারেন তারজন্যই এই ব্যবস্থা।
পুণ্যাস্নানের সময় গঙ্গাজল সংগ্রহ এবং মন্দিরে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে তীর্থযাত্রী ও পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থেই এই উদ্যোগ।
প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতেই শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যাতে গঙ্গা তীরে শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে সহজেই শ্রী কাশী বিশ্বনাথ ধামে যাতায়াত করা যায়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৯-এর ৮ মার্চ এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের প্রতিটি পর্যায়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন। তিনি স্বয়ং এই প্রকল্পের কাজ নজরদারি এবং নিয়মিত পর্যালোচনা করেছেন।
তীর্থযাত্রী ও পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে প্রকল্পের মানোন্নয়নে তিনি নিয়মিত ভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। এই প্রকল্প এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি ও প্রবীণ নাগরিকরাও উপকৃত হতে পারেন। এজন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি এসকালেটর বা চলমান সিঁড়ি বসানো হয়েছে।
জানাগিয়েছে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে মোট ২৩টি ভবন উদ্বোধন করা হবে। শ্রী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির দর্শনে আসা পুণ্যার্থীরা এই ভবনগুলিতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবেন। এরমধ্যে রয়েছে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র, পর্যটক সহায়তা কেন্দ্র, বৈদিক কেন্দ্র, মুমুক্ষু ভবন, ভোগশালা, সংগ্রাহালয়, গ্যালারি, খাবারের দোকান প্রভৃতি।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊