রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ বিজেপি!




সঞ্জিত কুড়ি পূর্ব বর্ধমান সদর। :- 



রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ বিজেপি নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। এই সত্য আর রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর অজানা নয়। অতীতে এমন ঘটনা দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে রাজনৈতিক ময়দানে পর্যদুস্ত হওয়ার পরে তারা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে সিবিআই কে ব্যবহার করেছে। বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায় এর ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে বিজেপি সেই ট্রাডিশন সমানে সমানে চলছে।




প্রসঙ্গত মাস চারেক আগে বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যে সানমার্গ চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত চলছে কিন্তু কখনোই প্রণব বাবুর নাম উঠে আসেনি এই মামলায়। রাজ্যজুড়ে যেমন পুরভোটেরদামামা বেজে উঠেছে দোরগোড়ায় কলকাতার পুরভোট তখনই এই অতি সক্রিয়তা কারণ কি ?তাকে যেহেতু তাকে পুরো প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে তাই তাকে কালিমালিপ্ত' করতে গিয়েই নতুন নাটক।




বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন প্রণব চ্যাটার্জী'কে সিবিআই গ্রেপ্তার করার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী শনিবার বর্ধমান কালি বাজারে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন।



তিনি বলেন বিজেপি নেতাদের জেনে রাখা উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিকরা দুর্দমনীয় সংগ্রামের মন্ত্রে দীক্ষিত। আমরা দিল্লির কাছে মাথা নত করব না বরং দিল্লির বুক থেকে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করবো। আর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন বা উপ নির্বাচনের মতোই আসন্ন পুরভোট গুলিতেও ফলাফল একই হবে। বিজেপির সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে বর্ধমান তথা বাংলার মানুষ বিজেপিকে পরাজিত করবে।




রবীন্দ্রনাথ বাবু বলেন দল তার পাশে দাঁড়াবে।রাজ্য নেতৃত্ব নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচি নেওয়া হবে। এবং পরবর্তী প্রশাসক হিসেবে নিয়োগের অপেক্ষায় রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশের।




এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, দলের জেলার মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক, দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়দেব মুখার্জী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।