অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন না মেলায় মৃত্যু কোভিড আক্রান্ত রোগীর, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল‍্য 




জলপাইগুড়ি, জয়ন্ত বর্মন


অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন না মেলায় মৃত্যু হল কোভিড রোগীর। ঘটনায় জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুল্লো মৃতের পরিবার। মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া জলপাইগুড়ি জুড়ে।



জলপাইগুড়ির বাসিন্দা অনির্বান ব্যানার্জী ৪২। শ্বাসকষ্ট সহ অন্যান্য শারিরীক অসুস্থতার জন্য গত ১৯ ডিসেম্বর তাকে ভর্তী করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এরপর তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় তাকে গত ২০ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর আজ বিকেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।




মৃতের শ্বাশুড়ি বনানী ব্যানার্জী অভিযোগ করেন, সন্ধ্যা নাগাদ জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের ১০২ এম্বুলেন্স করে তাকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় এম্বুল্যান্স এর অক্সিজেন ফুরিয়ে যায়। এরপর অক্সিজেনের অভাবে মাঝ রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।




আরো অভিযোগ এরপর মাঝ রাস্তায় এম্বুল্যান্স ফেলে পালিয়ে যায় ড্রাইভার। এরপর জলপাইগুড়ি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্রীন জলপাইগুড়ি এর এম্বুল্যান্স করে তার দেহ জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।




ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃতের শ্বাশুড়ি বনানী ব্যানার্জী।




ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল সুপার ডাক্তার গয়ারাম নস্কর তিনি বলেন, রোগীর কিডনি ফেল ছিল। তার সাথে করোনা ছিল। রোগীর পরিবার আমাদের এম্বুলেন্স ড্রাইভার কে নিগ্রহ করেছে। এরপর সে পালিয়ে গেছে। পরিবার এর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই তদন্ত হবে।




অঙ্কুর দাস, সম্পাদক গ্রীন জলপাইগুড়ি তিনি বলেন, আমাদেরকে ফোন করা হয় যে অ্যাম্বুলেন্স চালক গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। এর পরেই আমরা আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং মৃতদেহ নিয়ে কোভিড হাসপাতালে যাই।